জিয়াউল জিয়া/শুভ্র মিশু
রাঙামাটি জেলায় অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল এর কারনে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ (৫ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার সকালে থেকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে জেলার সাথে ছয়টি উপজেলার লঞ্চ, বোট ও স্পীড বোট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় নৌ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নিদের্শনা অনুযায়ী জেলার সকল লঞ্চ, বোট ও স্পীড বোট চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে। একই সাথে পর্যটক ভ্রমণকারী ছোট ছোট বোটগুলোও বন্ধ রাখা নির্দেশনা দেওয়াহয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, রাঙামাটি জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢল এর কারনে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সকল
ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরী সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযান সমূহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চত করে বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলার সাথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পর্যটন ঘাটের ট্যুরিস্ট বোট ইজারাদার মো. রমজান আলী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় বোট চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আমরাও বোট চলাচল বন্ধ রেখেছি। তবে পর্যটক আসছে তারাও হ্রদে ঘুরতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে।
রাঙামাটি আবাহওয়া অফিসের তথ্য মতে জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭.২২ মিলিমিটিার এবং গত ৪৮ ঘন্টায় যা ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে তাই পাহাড় ধসের ঝুঁকি এড়াতে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের জন্য শহরে ১৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা রয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও, যেতে অনিহা বসবসকারীদের।