জিয়াউল জিয়া ও মিশু মল্লিক ॥
খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও রাঙামাটির কাউখালীতে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে আদিবাসী ছাত্র সমাজের ব্যানারে কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে সমাবেশে মিলিত হয়।
রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সুজন চাকমা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হিমেল চাকমা, মেরিনা ত্রিপুরা, প্রহ্লাঅং মারমা। সংহতি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ‘ক’ অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার, হিল উইমেন ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কবিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা।
পাহাড়ে সকল অপহরণের ঘটনার সাথে ইউপিডিএফ’কে দায়ী করে বক্তারা বলেন, এরা এতো শাক্তিশালী হলো কিভাবে? তারা কি রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী? তারা যদি রাষ্ট্রের চেয়েও বেশি শাক্তিশালী না হয়ে থাকে তাহলে রাষ্ট্র কেন অপহৃত চবি’র পাঁচ শিক্ষার্থীদের এখনো মুক্ত করতে পারলো না?
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ছাত্রদের অপহরণ করার মত এত জঘন্য ও নোংরা কাজের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গত ১৬ এপ্রিল তাদেরকে অপহরণ করা হলেও, আজ পাঁচ দিন পর্যন্ত তাদের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন তাদের উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে বললেও আমরা তার দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামে অপহরণের এই নোংরা রাজনীতি কবে বন্ধ হবে?
বক্তারা আরো বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামেই নয়, ধর্ষকদের কালো হাত আজ সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত। গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে মোট ৯৬টি ধর্ষণ হয়েছে সারাদেশে, যারমধ্যে ৪৬ জনই শিশু। অথচ ধর্ষণের ঘটনা বারবার ঘটলেও প্রশাসন ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই ধর্ষকদের সাহস যোগাচ্ছে।
অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীকে অক্ষত উদ্ধার ও ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।