মিশু মল্লিক ॥
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে রাঙামাটির জনজীবন। শহরে চলাচল করছে একমাত্রক গণপরিবহন সিএনজি অটোরিক্সা, রাঙামাটি থেকে ছেড়ে গেছে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা পরিবহনের বাস, লঞ্চ চলাচলও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকালে সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, অবরোধের তেমন কোন প্রভাব নেই মানুষের প্রত্যাহিক জীবনে। স্কুল-কলেজগুলোতে ক্লাস হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। রাঙামাটি শহরের চলাচলকারী একমাত্র গণপরিবহন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে স্বাভাবিকভাবে। রাঙামাটির সাথে যেসকল উপজেলার নৌ-পথে যোগাযোগ রয়েছে সেসব উপজেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে লঞ্চ। শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় জেলা কার্যালয় আগের মতই তালাবদ্ধ অবস্থায় রযেছে, নেতাকর্মীদের কাউকেই মাঠে দেখা যায়নি।
রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পরেশ মজুমদার বলেন, চালকারা স্বাভাবিকভাবেই গাড়ি চালাচ্ছে। কোথাও কোন ধরণের বাধার সম্মুখীন হইনি আমরা। শহরে যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিক রয়েছে।
রাঙামাটি ইউনিক ও বিআরটিসি পরিবহনের প্রতিনিধি খোকন কুমার দে বলেন, অবরোধের আগের দিন রাঙামাটি থেকে যেসকল গাড়ি ছেড়ে গিয়েছে সেগুলো আর ফেরত আসতে পারেনি, তাই আমাদের এখানে কোন গাড়ি জমা নেই, তাই আমরা রাঙামাটি থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়তে পারছি না। রাঙামাটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ঢাকা দিকের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আপাতত গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (যাত্রী পরিবহন) রাঙামাটি জোনের সভাপতি মঈনউদ্দীন সেলিম বলেন, রাঙামাটি সদর থেকে বিভিন্ন উপজেলার উদ্দেশ্যে আমাদের লঞ্চগুলো সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে এবং উপজেলা থেকেও ছেড়ে এসেছে। ট্যুরিস্ট বোটগুলোও চলাচল করছে। তবে অবরোধের কারণে ভাটা পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়। অবরোধের কারণে পর্যটক উপস্থিতি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এতে অলস সময় কাটাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল আমিন বলেন, অবরোধে রাঙামাটির সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের পুলিশের টিম এবং মোবাইল টিমের পাশাপাশি আসনার সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। শহরের ভেতরে গাড়ি চলাচল ও জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখনো পর্যন্ত বিএনপির মোট ১১ জন নেতাকর্মী আটক হয়েছেন বলে জানান তিনি।