বিশেষ প্রতিবেদক, বান্দরবান
বান্দরবানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ল²ী পদ দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কান্তি দাস, আইনজীবি কাজী মোহতুল হোসেন যতœসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙচুর এবং মন্দিরের নামীয় ছয় শতক জমি দখলের লিখিত অভিযোগে করেছেন ভূক্তভোগী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বুধবার সকালে সাড়ে এগারোটায় বান্দরবান প্রেসক্লাব কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে এ অভিযোগ করেন জমিদাতা ও সার্বজনীন শ্রীশ্রী হরি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মলিন কান্তি দাশ।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে মন্দিরের জমি দাতা দুর্গাপদ সেনসহ ভুক্তভোগী সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মলিন কান্তি দাশ অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাস, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার কাউন্সিলর অজিত কান্তি দাস, আইনজীবী কাজী মোহতুল হোসেন যতেœর নেতৃত্বে দলবল হামলা করে মন্দির ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে মন্দিরের নামীয় ৩৩৭ নং বালাঘাটা মৌজার ১৭৬ নং হোল্ডিংয়ের ৮৩৫ দাগের ৬ শতক জমি দখল করে নেন। তৎকালীন সময়ে পুলিশ, প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও ক্ষমতাধরদের প্রভাবে কোনো সুবিচার পায়নি। থানায় পুলিশ মামলাও নেয়নি, উল্টো ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে, আমি অভিযুক্ত ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে সুবিচার প্রত্যাশা করছি।
মন্দিরের জমির আরেকদাতা দুর্গাপদ সেন বলেন, ২০০৭ সালে দুই একর জমির আমাদের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। সেখান থেকে ২০১৫ সালে মন্দিরের জন্য আমরা দুজন ৬ শতক জমি মন্দিরের নামে দানপত্র রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলাম। সেখানে গড়ে তোলা হয় টিনশেড কাঠের তৈরি একটা মন্দির। কিন্তু ক্ষমতাধর লক্ষীর নেতৃত্বে দখলদাররা মন্দির ভাঙচুর করে ৬ শতক জমি দখল করে নেন। এতদিন অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। নতুন সরকারের কাছে মন্দিরের জায়গা উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করছি।
এদিকে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগের নেতারা পলাতক থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত মো. মামুনুর রশীদ ও অসিম বড়ুয়া বলেন, মন্দির ভাঙচুরের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। পার্শ্ববর্তী ভিন্ন দাগে আমাদের রেকর্ডভূক্ত পাহাড়ি জমি রয়েছে, সেকারণে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।