চেয়ারম্যান বাজেট বক্তৃতায় এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্প নিয়ে বলেন, রাঙামাটি একটি পর্যটন শহর। দেশ বিদেশের বিভিন্ন পর্যটক নৈসর্গিক সৌন্দর্যেও টানে রাঙামাটিতে ছুটে আসেন। এখানে আছে, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ এবং চিরহরিৎ ও সবুজ পাহাড় ও বহুমাত্রিক সংস্কৃতির হাতছানি। পর্যটন শিল্পের বিকাশ রাঙামাটির অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। সরকার ইতিমধ্যে রাঙামাটিকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এদিকে রাঙামাটির পর্যটন বিকাশে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী চার বছরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে গত ২৭ জুন দেশের স্বনামধন্য কনসালটিং ফার্ম এ আই এন্ড এসোসিয়েটস লি. এর সাথে এ পরিষদের একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
জেলা পরিষদের বাজেটে উৎপাদনশীল খাতের তুলনায় অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বেশি রাখা হয়েছে। এবছরও পর্যটন খাতে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে গত বছর প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও এই খাতে কোনো খরচ দেখানো হয়নি।
এই বিষয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এর কাছে। এসময় সাংবাদিকরা প্রস্তাব দেন, ঘাগড়া থেকে মানিকছড়ি পর্যন্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা, আরো দর্শনীয় স্থানের ব্যবস্থাসহ ভ্রমণ উপযোগী বোট, স্পিডবোটের ব্যবস্থাকরণ।
সাংবাদিকদের পর্যটন খাতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পর্যটন নিয়ে জেলা পরিষদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা আশা করি পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন, পর্যটন খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে আমরা বিশেষ বিবেচনা করবো, পর্যটন নগরী রাঙামাটিকে একটি মডেল হিসাবে তৈরি করতে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে।