মাহমুদুল হাসান, বাঘাইছড়ি
টানা পাঁচদিনের অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মাত্র ১৮ দিনের ব্যবধানে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। এই নিয়ে চলতি মৌসুমে ৪র্থ ধাপে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বাঘাইছড়ি, পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম।
মঙ্গলবার বিকাল হতে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট-মাচালং সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সাজেকে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ডুবে যাওয়ায় পানি না কমা পর্যন্ত আটকা থাকবেন সেখানে বেড়াতে আসা আড়াই শ’ পর্যটক। একইসাথে খাগড়াছড়ির জেলার দীঘিনালা উপজেলা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক পথে সারাদেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
টানা পাঁচ দিনের ভারী বর্ষণের কারণে মঙ্গলবার দুপুর থেকে কাচালং নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে এবং মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে উপজেলার রূপকারি ইউনিয়ন, বঙ্গলতলী ইউনিয়ন, সাজেক ইউনিয়ন, মারিশ্যা ইউনিয়ন, বাঘাইছড়ি ইউনিয়ন, খেদারমারা ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলসহ পৌরসভার পুরাতন মারিশ্যা, মাস্টার পাড়া, ঢেবার পাড়া, মধ্যমপাড়া, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, কলেজ পাড়া, মুসলিম ব্লক, মাদ্রাসা পাড়া, হাজি পাড়া, বাবু পাড়া, এফ ব্লক, কাচালং বাজার, বটতলী, লাইল্যা ঘোনাসহ ২০টিরও অধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
এবছর ঘূর্ণিঝড় রিমেল ও মৌসুমী প্রভাবে সৃষ্ট মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো এবার সহ ৪ দফায় প্লাবিত হয়েছে এতে ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার মানুষ।
স্থাানীয়রা জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত না হলে যেভাবে পাহাড়ি ঢলের পানি আসতে শুরু করছে তাতে গোটা বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রচুর পরিমাণে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা বিগত দিনের বন্যার ভয়াবহতাকে ছাড়িয়ে যাবে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, শিশু, বৃদ্ধা ও রোগিদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বন্যায় কবলিতরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার বলেন, চার দফায় বন্যা কবলিত বাঘাইছড়ি উপজেলার নি¤œাঞ্চল। ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, ইতিমধ্যে লোকজনদের আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। পানি বন্দী লোকজনদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।