জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুর রহিমকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সাজা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কল্যাণ প্রিয় চাকমা, জিকো চাকমা, অভিভাবক এরিক চাকমা, দীপন বিকাশ চাকমা ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলের হোস্টেলে নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আব্দুর রহিম। ধর্ষণে দায়ে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর যাবজ্জীবন সাজা দেয় আলাদত। পরে উচ্চ আদালত হতে এক একর জমি লিখে দিয়ে জামিন নেন আব্দুর রহিম। জমিন পেয়ে আবারও ২৩ জুন বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। আব্দুর রহিমকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ হয়ে স্থায়ী বহিষ্কার, সাজা বহাল এবং বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পুনঃগঠনের দাবি জানানো হয় মানববন্ধ থেকে। আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কল্যান প্রিয় চাকমা বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির জোগ সাজসের কারনে আব্দুর রহমি সাজার হওয়ার পর আবারও বিদ্যালয় যোগদান করার সুযোগ পেয়েছে। তাই আমরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি গঠন এবং আব্দুর রহিমকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার ও সাজা বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।
আব্দুর রশিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক এরিক চাকমা বলেন, আব্দুর রহিম বিদ্যালয়ে থাকা মানেই আতঙ্ক। আমরা আমাদের মেয়েদেরে বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি। প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম স্থায়ী বহিস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাবো না।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান বলেন, একজন শিক্ষক এমন কাজ করতে পারে সেটা কখনোই কল্পনা করি না। ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে থাকার পর সব চেয়ে বেশি তাকে তার বিদ্যালয়ে। সেখানেও যদি সে নিরাপদ না হয় তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধংস হয়ে যাবে। আমরা ক্ষক আব্দুর রহিমকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কারের জন্য শিক্ষা মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্কুলের হোস্টেলে নিজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আব্দুর রহিম। একই বছর ৫ অক্টোবর লংগদু থানায় মামলা দায়ের করেন মেয়েটির পরিবার।