হেফাজত সবুজ ॥
রাঙামাটির সেগুন কাঠে তৈরি আসবাবপত্রে খ্যাতি রয়েছে দেশ রয়েছে জুড়ে। আর এসব আসবাবপত্র তৈরিতে এই জেলায় গড়ে ওঠেছে প্রচুর কারখানা। চাহিদার সাথে যোগানের ভারসাম্য রক্ষার্থে সনাতনি পদ্ধতির বদলে অধুনিক মেশিনে তৈরি করা হচ্ছে আসবাবপত্র। আর আসবাবপত্র তৈরিতে বর্জ্যে দুষিত হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ। আর বিষয়ে সহসাই সচেতনা বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহর জুড়েই রয়েছে সারি সারি আসবাবপত্র তৈরির কারখানা। যা দেখে অনুমান করা যায় এখানে তৈরিকৃত আসবাবপত্রের চাহিদার কথা। ফলে সনাতনি পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার হচ্ছে সকল কারখানায়। হাতুর বাটালে তৈরি করা হয় নকশা। শুধু মাত্র এই নকশার কাজ ছাড়া আসবার তৈরির সব কাজেই লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আর এই আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে কাপ্তাই হ্রদের জন্য। শহরের যত্রতত্র হ্রদের পাড়ে এভাবে দেখা মিলে আবর্জনার পাহাড়সম স্তুপ। যা পৌঁছে গেছে মধ্য হ্রদ পর্যন্ত। এসব বর্জ্য পচে দুষিত করছে পানি। ভরাট হচ্ছে তলদেশ। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও এমন স্তুপে মাসের পর মাস জ্বলছে আগুন। যার আশপাশে রয়েছে প্রচুর কাচাবাড়ি। এই ঝড় মৌসুমে বাড়াচ্ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। আসবাবপত্র বর্জ্য কোথায় ফেলা হয় এমন প্রশ্নে দোকানিদের সহজ সরল উত্তর বস্তায় ভরে খালের ধারে নিয়ে ফেলে দেই। কেউ বা বলছেন কাঠ পচে কি দূষণ হয় নাকি?
আসবাবপত্রের বর্জ্যের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সংবাদকর্মী শংকর হোড় বলেন, মাসের পর মাস যে আগুন জ্বলছে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঝড় মৌসুমে তো আগুন ছড়িয়ে যেতে পারে। ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিয়ে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহী বলেন, আসবাব বর্জ্যরে বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি সেটা করা না যায় তাহলে হ্রদের পানি বিশুদ্ধ না থাকলে খুব বড় মূল্য দিতে হবে পাহাড়বাসীকে।
তবে আসবাবপত্র কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পিয়ারু বলেন, প্রত্যেক দোকানিকে বর্জ্য হ্রদে না ফেলতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। আমরা পুনরায় তাদের বলে দিব। এরপরও যদি কেউ ফেলে তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সমিতি ও দোকানিদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে এমনটা হবে না। আমরা দ্রুতই সকলকে নিয়ে বসবো।
সমিতির তথ্যমতে রাঙামাটি শহবে ছোট বড় মিলেয়ে এক হাজার আসবারপত্র তৈরির কারখানা রয়েছে।