কাউখালীতে অনুষ্ঠিত শিক্ষিকাদের এক প্রশিক্ষনে বক্তারা বলেছেন, শিক্ষার প্রথম পাচঁ বছরেই হচ্ছে মূল ভিত্তি। এ ভিত্তির স্তর সঠিকভাবে নির্মান করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে তৈরী হবে। বক্তারা বলেছেন,এখন শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার মান ও শিক্ষার হার বেড়ে চলেছে। সঠিকভাবে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে শিক্ষক অভিভাবক সহ সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার সকালে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন-ইপসা কাউখালীর সন্মেলন কক্ষে ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমের আওতায় মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত শিক্ষিকাদের ’বিষয় ভিত্তিক দূ’দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী সভায় বক্তরা এ কথা বলেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)’র সহায়তায় ইপসা এ প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।
ইপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি ছিলেন কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা। দু’দিনের এ প্রশিক্ষন কর্মসূচীর উদ্বোধনী সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিনয় চাকমা, সাংবাদিক আরিফুল হক মাহবুব, ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, বেতবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তফসির আহম্মেদ, ইপসা’র এরিয়া ম্যানেজার এনামুল হক শান্ত প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেছেন,শিক্ষা কেন্দ্রে শিশুদের পাঠদানে সঠিক নিয়ম এবং ভাষা ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান এ যুগের শিশুরা আবেগপ্রবন বিধায় তাদের পাঠদানের সময় সচেতন হতে হবে। বক্তারা বলেছেন,একটু সচেতন হলেই শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে। বক্তারা সমৃদ্ধি কার্যক্রম কাউখালীর প্রত্যন্ত এলাকায় সম্প্রসারন করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পিকেএসএফ’র সহায়তায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রেখে স্থানীয় শিক্ষিকার মাধ্যমে দরিদ্র ও নিরক্ষর পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রতিদিনের পড়া শিখতে সহায়তা করার জন্য স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত বা সুবিধামত স্থানে শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে উক্ত শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইপসা। প্রথম পর্যায়ে কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশটি শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। প্রতিদিন বিকেলে এসব শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রে একজন স্থানীয় শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে ২৫-৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ২ ঘন্টা ব্যাপি পড়ানো হবে।
দু’দিন ব্যাপী শিক্ষিকাদের এ প্রশিক্ষন কর্মসূচীতে ২০জন শিক্ষিকা সহ ২৩ জন অংশ গ্রহন করেন। কাউখালী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাষ্টার ট্রেইনার হিসেবে এ প্রশিক্ষন কর্মসূচী পরিচালনা করছেন।