জিয়াউল জিয়া ||
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও রাঙামাটিতে জশনে জুলুস (র্যালি) করে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, রাঙামাটি জেলা শাখা।
শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে রিজার্ভ বাজার থেকে জশনে জুলুস বা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরূপায় এসে শেষ হয়। এই জুলুছে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে নানা সাজে সজ্জিত হয়ে যোগ দেন নানা বয়সী মানুষ।
জশনে জুলুছে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ¦ মাওলানা আবদুল ওয়াজেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু সৈয়দ। উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বনরূপা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ইকবাল হোসাইন আল ক্বাদেরী, রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদের খতিম মাওলানা আবু নওশাদ নঈমী, কলেজ গেইট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সুলতান মাহমুদ আল ক্বাদেরী, তৈয়বিয়া আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী, কাঠালতলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল আলম আল ক্বাদেরী, পুরাতন বাস স্টেশন জামে মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ আলহাজ¦ মাওলানা জসীম উদ্দিন নুরী, কাঠালতলি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ ক্বারী মাওলানা সেকান্দর হোসাইন আল ক্বাদেরী, তাহের শাহ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ ক্বারী মাওলানা নঈম উদ্দিন আল ক্বাদেরী প্রমুখ।
র্যালি শেষে বনরূপা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একই সাথে জশনে জুলুছ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
মাহফিলে বক্তারা আর বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীর বুকে আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে তাঁর সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য, সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জুলুসকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানান রাঙামাটি কোতয়ালি থানার ওসি মো. আরিফুল আমিন।