নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব হাওলাদার এর উপর নিজ দলের একদল নেতাকর্মী হামলা করে তাকর বেদম।মারধর করে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় (৮ই মে) বুড়িঘাট ৮নং টিলায় নূর হোসেনের চায়ের দোকানে সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীদের হাতে অতর্কিত হামলায় গুরতর আহত হন বলে জানান আব্দুল ওহাব হাওলাদার।এসময় তার সাথে থাকা দলীয় লোক কাইয়ুম হোসেন ও রুবায়েত হোসেনও আহত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন,দলীয় কোন্দলের জন্য সাধারন সম্পাদকের অনুসারিরা এভাবে হামলা করেছে,আমি এবিষয়ে জেলার শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।আমাকে নুরজামাল,শাহিন আলম,মহিদুল,হাফিজ,শহিবুল ইসলাম,রুবেল মৃধাসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং দোকান ভাংচুর করে। এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি আমি।
এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় দাবি করা শাহিন আলম মুঠোফোনে জানান, তিনি রাঙামাটি আছেন। এছাড়া সহিবুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি বগাছড়ি আছেন বলে জানান এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেন।
এবিষয়ে নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুজন হালদার জানান আমি ঘটনাটি শুনেছি , আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। এখনো থানায় অভিযোগ বা মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত,নানিয়ারচর আওয়ামীলীগের শীর্ষ দুই নেতা সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব হাওলাদার ও সেক্রেটারি ইলিপন চাকমার মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জেরে সম্প্রতি ৭১সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটির ৫২ জন নেতা ইলিপন চাকমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে লিখিতভাবে আবেদন করে জেলা আওয়ামীলীগের কাছে। এরপর সভাপতির বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ এনে কিছু মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করায় সেক্রেটারি অনুনারিরা,এমন অভিযোগ সভাপতি অনুসারিদের। এসব ঘটনায় দুরত্ব বাড়ে দুই নেতার। এরই মধ্যে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।
এই হামলায় জড়িত হিসেবে সভাপতি যাদের নাম উল্লেক করেছেন তারা প্রত্যেকেই সাধারন সম্পাদকের অনুসারি হিসেবে পরিচিত বলে জানাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের সূত্রগুলো।
নানিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিপন চাকমা মুঠোফোনে পাহাড়টোয়েন্টিফোরকে জানায়,আমাদের সমস্যা গুলো জেলা আওয়ামীলীগ মিটমাট করে দিয়েছে,এরপর আমি সকলকে বলে দিয়েছি এ নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে,কিন্ত হঠাৎ এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটবে সেটাই তো বুঝতে পারছি না।বলতেছে চায়ের দোকানে ঘটনা হয়ত তর্কাতর্কির মাধ্যমে ঘটনার সুত্রপাত ও হতে পারে।