নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই
কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাটে কচুরিপানার বিশাল জট সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে এটা হ্রদ নয়, একটা খেলার মাঠ। যেখানে সারা মাঠ জুড়ে রয়েছে সবুজের সমারোহ। এই অবস্থায় ৫ মিনিটের দূরত্বে পৌঁছুতে এক ঘন্টা মতো সময় লাগছে। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানি ও পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসে কচুরিপানা। ফলে কাপ্তাই হ্রদের একমাত্র ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপস্ট্রিম জেটিঘাটে কচুরিপানা জটের সৃষ্টি হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হ্রদের নৌরুটে জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ও পাহাড়ি ঢলে পাহাড়ি ছড়া হয়ে কচুরিপানা ছুটে এসে জেটিঘাট ফিসারিঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এসে জটলার সৃষ্টি করেছে। ফলে ব্যবসায়ীগণ কচুরিপানা জটলা নিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়ছে। ছোট বড় সকল ধরনের ব্যবসা প্রায় বন্ধের পথে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়, বিলাইছড়ি, রাঙামাটি, বড়কল, মাইনী, মারিশ্যাসহ পার্শ্ববর্তী হ্রদ পথের সরকারি, বেসরকারি কাজে কর্মরত লোকজন জানায়, কচুরিপানা জটের কারণে সঠিক সময়ে তারা গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেনা। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল, কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন ও মৎস্য সমিতির সম্পাদক নবী হোসেন জানান, কচুরিপানা যানজটের ফলে আমাদের মাছগুলো সঠিক সময় ঘাটে পৌঁছাতে না পারায় পথেই নষ্ট হচ্ছে। অনেক সময় ইঞ্জিনের পাখা মাঝ পথে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া হ্রদ পথে কচুরিপানা জটের ফলে অধিক ডিজেল খরচ করতে হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে। এতে আর্থিক লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। তারা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, কাপ্তাই পিডিবি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট এবিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন।
কাপ্তাই মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বেলাল হোসেন বলেন, এধরনের কচুরিপানা জট অপসরণের দায়িত্ব কাপ্তাই পিডিবি কর্তৃপক্ষের। প্রতিবছর আপস্ট্রিম জেটিঘাট ইজারা দিয়ে থাকেন। তাই ব্যবসায়ীদের সমস্যা দূরীকরণে স্থানীয় পিডিবি কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন উপকেন্দ্র প্রধান মো.জসিম উদ্দিন জানান, কচুরিপানা জটের ফলে বিশাল সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সঠিক সময়ে ব্যবসায়ীরা মাছ নিয়ে গন্তব্যস্থল কাপ্তাই মৎস্য উপকেন্দ্রের পন্টুনে পৌছতে পারছে না। নৌ পথে মাছের নৌকা আটকে গিয়ে সময় ও মাছ নষ্ট হচ্ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।