এখনো ঘুমঘোরে দূর অতীতে ফিরে যান মনীষ। ক্যাডেট কলেজের মেধাবী এক ছাত্র নিজ মাতৃভূমিতে ভিনদেশী হায়েনাদের দাপট আর অসহ্য পীড়ন দেখে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ছুটে যাওয়া,সেখানে সশস্ত্র প্রশিক্ষন গ্রহণ,ট্রেনিং শেষে নিজ মাতৃভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় ঘাটি গেড়ে শত্রুশিবিরে হানা দেয়া এবং শেষাবধি জয়ী হয়ে বিজয়ীর বেশে দেশে ফেরা এবং মাতৃভূমির বুকে নিজ দেশের লাল সবুজ জমিনে মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন,সবটাই হয়তো স্মৃতি,কিন্তু আসলে রূঢ় বাস্তবতাই লে: কর্ণেল (অব.) মনীষ দেওয়ানের জীবনে।
মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়কালকে নিজের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় উল্লেখ করে সাহসী এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে যান নিজের যুদ্ধজীবনের গল্প,সে গল্পের কোথাও কোন ফাক নেই,স্মসৃতি হাতড়াতে হয়না,সবকিছুই এখনো জ্বলজ্বল চোখের সামনে। মনে হয় এইতো সেদিনের ঘটনা সব।
মনীষ দেওয়ান। পার্বত্য চট্টগ্রামের এই ছেলেটি ১৯৭১ সালে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। মাত্রই উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করেছেন। ৬৯ এর গণ আন্দোলন,৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচন ১৮ বছর বয়সী মনীষকে ঠিকই ছুঁয়ে গেছে,অন্য অনেকের মতো তাকেও উজ্জীবিত করেছে,কিন্তু ক্যাডেট কলেজের আবহ ও বাস্তবতার কারণেই রাজনীতির সাথে কখনই সম্পৃক্ত ছিলেন না তিনি,সম্ভবও ছিলোনা। কিন্তু ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা,চট্টগ্রাম,রাজশাহীতে পাক বাহিনীর নৃশংস গণহত্যার সংবাদ জেনে আর ২৭ মাচর্ মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে স্থির থাকতে পারেননি এই তরুন। আরো কয়েকজন বন্ধুসহ যাত্রা শুরু করেন অচিন গন্তব্যে।
মনীষ দেওয়ান প্রসঙ্গক্রমেই বলেন, আমার ক্লাশমেট ও বন্ধু ইস্কান্দারের বোনের জামাই ছিলো ক্যাপ্টেন জিয়া (পরে মেজর এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি) এটা আমি জানতাম। কিন্তু সেই তিনিই স্বাধীনতার ঘোষনা দিলেন,বিষয়টি আমাকে অন্যরকমভাবে প্রণোদিত করে।
মনীষ দেওয়ান বলে চলেন -‘ এপ্রিলের দিকে আমরা নোয়াখালী হয়ে রামগড়ে পৌঁছাই। সেখানে রামগড় হাইস্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প,১ নং সেক্টর । সেখানে আমি মেজর জিয়াকে দেখি,তখন তার মুখে বড় বড় দাঁড়ি,সম্ভবত বেশ কিছুদিন শেভ করতে পারেননি। সেখানে লে: কর্ণেল আফতাবুল কাদের (পরে শহীদ), আফজাল ইবনে নূর (বর্তমানে কানাডা প্রবাসি) সহ বেশ কয়েকজনের সাথে সাক্ষাত হয়। সেখানে কয়েকদিন অবস্থানের পর আমার সাব্রুম সীমান্ত হয়ে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধাদের হেডকোয়ার্টারে যাই। সেখানকার হাফলং প্রশিক্ষন শিবিরে আমাদের প্রশিক্ষন দেয়া হয় এক সপ্তাহের। প্রশিক্ষন শেষে আমার সাব্রুম আসি। সেখানে রনবিক্রম ত্রিপুরা সহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বেশ কয়েকজন ত্রিপুরা ও মারমা মুক্তিযোদ্ধার সাথে সাক্ষাত হয়। ততদিনে সেখানে জিয়াউর রহমানের স্থলে মেজর রফিক সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যোগ দেন এবং সেক্টরটিও আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছিলো। সেখানেই একদিন রনবিক্রম ত্রিপুরা আমাকে ডেকে নিয় বললেন, মুজিব বাহিনী গঠিত হচ্ছে,ওইটা হবে আরো বেশি শক্তিশালী ও সক্ষম বাহিনী,আমি যোগ দিচ্ছি,তুমি যোগ দিবে কিনা। আমিও সাথে সাথে রাজী হয়ে গেলাম এবং আগরতলা চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেরাদুনে এক মাসের ট্রেনিং পেলাম। সেখানকার প্রশিক্ষন বেশ উন্নত এবং থাকা খাওয়াও ভালোই ছিলো। আমারও ভালোই লাগলো সবকিছু মিলিয়ে। তবে সেখানে সামরিক প্রশিক্ষনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মোটিভেশনও দেয়া হতো। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল সুজান সিং ওভান সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন।
‘ ট্রেনিং শেষে আমাকে বলা হয়,মিজোরামের দেমাগ্রীতে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। কারণ সেখানে মিজোবাহিনী খুব সমস্যা করছিলো। আমরা নির্দেশমতো দেমাগ্রী পৌঁছে যাই। সেখানে অশোক মিত্র কার্বারি,উ ক্য জেন এর সাথেও দেখা হয়। দেমাগ্রীতে আমরা প্রায় ২৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম,এদের প্রায় সবাই বাঙালী,পাহাড়ী ছিলাম আমরা হাতে গোণা কয়েকজন। আমরা বিভিন্ন সময় ঠেগামুখ দিয়ে ছোটহরিণা বাজার পর্যন্ত অভিযান চালাতাম,ছোট ছোট অভিযান, আবার দ্রুত ফিরে যেতাম। রাঙামাটি পর্যন্ত যাওয়ার সাহস করতামনা। কারণ রাঙামাটি শহর ও আশেপাশে রাজাকাররা কিলবিল করতো। পাকিস্তানী বাহিনীর উপস্থিতিও ছিলো প্রচুর। রাঙামাটি শহরে এতোবেশি পরিমাণ পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার ছিলো যে আমরা সেখানে সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য কোন সোর্সও তৈরি করতে পারছিলাম না। দু:খজনক হলেও সত্য, একাত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো রাজাকারের চারণভূমি। ’
রাঙামাটি শহরে এতোবেশি পরিমাণ পাকিস্তানের দালাল ও রাজাকার ছিলো যে আমরা সেখানে সঠিক ও বিশ্বাসযোগ্য কোন সোর্সও তৈরি করতে পারছিলাম না। দু:খজনক হলেও সত্য, একাত্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিলো রাজাকারের চারণভূমি। ’
‘বরকলের ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ঠেগামুখের বেশ কাছেই ছিলো আমাদের ক্যাম্প। একবার আমাদের দায়িত্ব দেয়া হলো, পাকিস্তানীদের সহযোগি মিজো বাহিনীর নেতা ‘লাল দেঙ্গা’কে হত্যা করার। লাল দেঙ্গা তখন রাঙামাটি শহরেই ডিসি বাংলোর পাশে এসডিও’র বাসার পাশেই একটি বাড়ীতে থাকতেন। কিন্তু এই অপারেশনে আমরা সফল হইনি রাঙামাটিতে আমাদের বিশ্বস্ত কোন সোর্স না থাকায়। তখন রাঙামাটি শহরে পাকিস্তানীদের এতো বেশি দাপট ছিলো যে শহরে প্রবেশ করাও ছিলো বেশ কঠিন আর লোকজনের মধ্যেও বড় একটা অংশ ছিলো পাকিস্তানপন্থী। ফলে আমরা সুবলং পর্যন্ত এসে ফিরে যেতে বাধ্য হই।’
‘আমাদের আগে মুক্তিযোদ্ধাদের আরেকটি দল,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপন চৌধুরীর নেতৃত্বে রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করতে গিয়ে ডিসি বাংলো এলাকায় পাকবাহিনীর এ্যাম্বুশে পড়ে নৃশংসভাবে হত্যার স্বীকার হয়।’
‘নভেম্বর মাসেই পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটিতে আসল যুদ্ধ শুরু হয়। এর আগে আমরা বিচ্ছিন্নভাবে যা করেছি বা করার চেষ্টা করেছি তাকে ঠিক যুদ্ধ বলা কঠিন। শক্তিশালী পাক বাহিনীর সাথে আমরা তখন পর্যন্ত পেরে উঠছিলাম না। নভেম্বরে ভারতীয় বাহিনী যোগ হয় আমাদের সাথে। নভেম্বরে জেনারেল সুজান সিং ওভান দেমাগ্রী আসেন এবং সেই সাথে ভারতীয় বাহিনীর বিপুল রশদও।’
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এক রাতে আমরা দুই ব্যাটেলিয়ন যোদ্ধা দেমাগ্রী থেকে ঠেগামুখ হয়ে ছোট হরিণা বাজারে অভিযান চালাই । সেখানকার পাক বাহিনীর সাথে ৩/৪ দিন যুদ্ধ শেষে আমরা ছোট হরিণা বাজারের নিয়ন্ত্রন নেই এবং বরকল অভিমুখ অগ্রসর হই। সেখানে আমি নিজ হাতে দুইজন পাকসৈন্যতে হত্যা করি,তাদের ব্যাপক ক্ষতিও সাধিত হয়। আমরা বরকলে পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমন করি । কিন্তু মুক্তিবাহিনীর পক্ষ থেকে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় পাক বাহিনীর ক্যাম্পের আশেপাশের সাধারন পাহাড়ী পরিবারগুলোকে সড়ে যাওয়ার জন্য তথ্য জানাতে। আমি সেই মোতাবেক যাই। কিন্তু পাক বাহিনী এই ফাঁকে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তাদের ক্যাম্প পুনর্দখল নেয় কিন্তু আমি আমার দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি। অস্ত্র হাতে পাহাড়ী জঙ্গল,ছড়া দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পায়ে হাঁটি আমি। রাতে জুমঘরে ঘুমাই। জঙ্গলী ফুলমূল খাই। এভাবেই ২/৩ দিন পর আমি দেমাগ্রী পৌঁছাই। আমাকে দেখে সবাই অবাক। তারা ভেবেছিলো আমি মারা গেছি। টানা কয়েকদিনের হাঁটা আর শারীরিক দুর্বলতায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলাম আমি।’
এরপর একদিন আমাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে রাঙামাটি শহরে রেকি করার জন্য নিয়ে যান ভারতীয় বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। একদিনে তিনবার হেলিকপ্টারে রাঙামাটি শহর রেকি করি আমরা। এরপর ১৫ ডিসেম্বর তিনটি হেলিকপ্টারে করে অনবরত ফ্লাই করে আমাদের প্রায় ২০০ ভারতীয় সৈন্য ও ৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে কুতুকছড়ি এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়। আমি আর আমার সাথে ছিলো সামসুদ্দিন ( ওর বাবা ছিলো রাঙামাটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর ও ছিলো রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র)। বাকীরা অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আমার কুতুকছড়িতে অবস্থান নেয়ার খবর জেনে সাথে সাথে পাক বাহিনী ব্যাপক মর্টারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। আমি আর সামসুদ্দিন সেইদিন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে যাই। ১৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত পাকিস্তান বাহিনীর আক্রমন অব্যাহত ছিলো।’
তখন আমাদের নির্দেশ দেয়া হয় ফুরোমন পাহাড় অতিক্রম করে পুরনো কাউখালী বাজারের পাক অবস্থানে হামলা চালাতে। আমরা রাতভর পাহাড় অতিক্রম করে সকালে বাজারে গিয়ে দেখি পাক বাহিনীর ক্যাম্প শূণ্য,তার সব পালিয়েছে। তখন আমাদের মূল সড়কটিতে ব্যারিকেড তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা রাস্তায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেও যখন পাক বাহিনীর কোন অস্তিত্ব দেখলাম না ,তখন রাঙামাটি শহরের দিকে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু আমি আর সামসুদ্দিন ছাড়া আর কেউ রাঙামাটি যেতে রাজি হচ্ছিলোনা। শেষে তারা চট্টগ্রামের দিকে রওনা হলো আর আমরা দুজন রাঙামাটির পথে। একটি পিকআপ পেয়ে যাই আমরা। সেটিতে করেই রাঙামাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। কিন্তু মানিকছড়ি এসে দেখি পাক বাহিনী যাওয়ার সময় ব্রীজটি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। কোনমতে ব্রীজটি পাড় হয়ে আমরা শহরে প্রবেশ করি।’
আমি আর সামসুদ্দিন শহরে প্রবেশ করেই বর্তমান রাণী দয়াময়ী স্কুলের সামনে আমার খালার বাসায় ( এডভোকেট পাম্পুর মা) গিয়ে জিনিসপত্র রেখে,ফ্রেশ হয়ে রিজার্ভবাজারে ডিসি অফিসে গেলাম। ডিসির সাথে সাক্ষাত হলো আমাদের। আমাদের হাতে অস্ত্র। ততক্ষনে পাকবাহিনী শূণ্য রাঙামাটি,তাদের দালাল ও সহযোগি মিজোরাও পালিয়েছে। আমাদের আসার খবর পেয়ে শত শত মানুষ পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং এ ছুটে আসতে থাকে। আমরা ডিসি অফিসে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের জন্য কোথাও একটা পতাকা পেলাম না। তাৎক্ষনিক পতাকা বানিয়ে সেই পতাকা ডিসি অফিসে টানিয়ে দিলাম। অবশ্য বিকালে আবার শেখ ফজলুল মনি,জেনারেল সুজান সিং ওভানরা এলে আবারো পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আবারো বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছি আমরা।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মণীষ দেওয়ান বলেন, আমরা রাঙামাটিতে প্রবেশ করে কাউকে মারিনি,কারো উপর হামলা করিনি। অথচ আমরা জানতাম,জেনেছি,কারা রাঙামাটির সাধারন মানুষের জীবনকে অতীষ্ঠ করেছিলো,কারা নিরীহ মানুষের উপর পাক বাহিনীর পক্ষ থেকে নির্যাতন নিপিড়ন করেছিলো। কিন্তু আমরা প্রতিশোধ নেইনি। আজ তাদের অনেককে দেখি রাজার হালে ঘুরে বেড়ায়,কষ্ট লাগে,অবাক হই,কিন্তু ভুলে যেতে পারিনা তাদের অতীত। ইতিহাস নিশ্চয়ই তাদের অপকর্মের প্রতিশোধ নেবে।’
‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন,সবচে বড় অহংকার।’ আমি কোনদিন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নেইনি,কারণ আমিতো কোন ভাতা বা সাহায্যের জন্য যুদ্ধ করিনি।’
‘আমার বিশ্বাস ৭১ এর যারা পূর্নবয়স্ক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান হয়েও যুদ্ধে অংশ নেননি,তার হয় কাপুরুষ,নতুবা পাকিস্তানপন্থী।’
( লে. কর্ণেল (অব.) মণীষ দেওয়ান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনি ১৯৭১ সালে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার প্রথম উত্তোলনকারি। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। পরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর তিনি বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি পুন:প্রকাশিত )