নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
‘এন্টিমাইক্রোবিয়ালের কার্যকারিতা: নিজে জানুন, অন্যকে জানান, প্রতিরোধের এখনই সময়’ এই প্রতিপাদ্যে রাঙামাটিতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স(এএমআর) সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের আহ্বায়ক প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেলা ট্রেনিং অফিসার ডা. নিতাই চন্দ্র দাস, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডা. তুষার কান্তি চাকমা। এএমআর সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ধারণা তুলে ধরেন শুকর উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডা. লেনিন দে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপর্ণা দে, আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক শ্রুতি চাকমা, আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের ব্যবস্থাপক কুসুম চাকমা, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. দেবরাজ চাকমা, সদর উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার হামিদ, নানিয়ারচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমাপন চাকমাসহ বিভিন্ন দপ্তরের উপ সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন খামারের মালিক এবং ভেটেরিনারি খাদ্য ও ঔষুধের দোকানের ব্যবসায়ীবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বিশ্বব্যাপী ১০টি শীর্ষ স্বাস্থ্য হুমকির অন্যতম। প্রতিবছর এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের ফলে ৫০ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। গবাদিপশু এবং কৃষিতেও এর নেতিবাচক প্রভাব কাজ করছে। তাই এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। এই লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতার স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। চিকিৎসক এবং ফার্মেসি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামার পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে।
সভার শুরুর পূর্বে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের হয়ে আসামবস্তি সড়ক প্রদক্ষিণ করে।