জয়নাল আবেদীন, কাউখালী ॥
সম্প্রতি কাউখালী উপজেলা বিএনপি’র চুড়ান্ত কমিটি অনুমোদনের পর আবারও দুইভাবে বিভক্ত কাউখালী উপজেলা বিএনপি। পদ পাওয়া ও তাদের অনুসারীরা নতুন কমিটিকে স্বাগত জানালেও পদ বঞ্চিত ও তাদের অনুসারীরা ধিক্কার জানিয়েছিলো উপজেলা ও জেলা কমিটির নেতৃব›ৃদদের। শুভেচ্ছা জানানো বা ধিক্কার এসবের বেশিরভাগই ছিলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মধ্যে বন্দী। কিন্তু উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ঘিরে মাঠে গড়ালো উপজেলা বিএনপি’র চুড়ান্ত কমিটি অনুমোদনের রেশ।
আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি (বিএনপি)’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আর এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের জন্য পৃথক কর্মসূচি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি ও নতুন কমিটিতে স্থান না পাওয়া বিএনপি’র আরেকটি গ্রুপ।
কাউখালী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টায় কাউখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সফল করার জন্য উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।
অপরদিকে কাউখালী উপজেলা বিএনপি পরিবারের ব্যানারে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম, আহবায়ক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটি ও সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন হিরো স্বাক্ষরিত সাংবাদিকদের দেওয়া চিঠিতে দেখা যায় উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের নাইল্যাছড়ি এলাকার বিএনপি সমর্থিত সাবেক এক মেম্বারের বাড়ীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা বিএনপি পরিবারের ব্যানারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটি আহবায়ক উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম জানান, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে উপজেলা কমিটি করেছে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটি। এ বিষয়ে আমরা জেলা কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েছি। জেলা কমিটি ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও ১৬/১৭ দিনেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া উপজেলা কমিটি আমাদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। যার ফলে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনে আলাদা কর্মসূচি দিয়েছি।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবো। বিএনপি পরিবার ব্যানারে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের একটি চিঠি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। এর সত্যতা যাচাই বাছাই করছি। সাংগঠনিক ভাবে জেলা কমিটিকে এ বিষয়ে অবহিত করবো। খোরশেদ আলম বা হিরো তারা উপজেলা বিএনপি’র মূল কেউ না। খোরশেদ আলম ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় আওয়ামীলীগে চলে যায় এখন আবার বিএনপিতে থাকতে চাচ্ছে। কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় ক্ষোভ থেকে তারা এরকম করে থাকতে পারে।
জেলা বিএনপি’র সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু জানান, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিশ্চয় দলের জন্য ক্ষতিকর। আমরা দুইপক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি যাতে কোন ধরনের সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী জানান, বর্তমান উপজেলা বিএনপি’র মূল কমিটি ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মনছুর অনুসরী উভয় পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের চিঠি পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার কোন শঙ্কা আছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের টিম কাজ করছে। আমাদের টিমের তথ্যে ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।