অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ॥
কথায় আছে দৃঢ় মনোবল এবং মানুষের ইচ্ছাশক্তি থাকলে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব। সেই কথাটিকে কাজের মাধ্যমেই প্রমাণিত করে যাচ্ছেন রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার বাসিন্দা ভ্রমণপিপাসু ও সাইক্লিস্টিস বীর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। ইতিমধ্যে তিনি মাত্র ৪০ দিনে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সাইকেলে ভ্রমণ সমাপ্ত করে বাংলাদেশে এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এবার তিনি সাইকেলে নিজ দেশ ভ্রমণ শেষে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ভ্রমণে যাত্রা শুরু করেছেন। ভারতের ২৯টি রাজ্য সাইকেলে ভ্রমণ করবেন তিনি। সেই উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে পৌঁছান তিনি। সেখানে এই বাংলাদেশী সাইক্লিস্টিসকে সংবর্ধনা প্রদান করেছেন ওখানকার স্থানীয় সাইক্লিস্টিস বন্ধুরা। এছাড়া কাপ্তাইয়ের বীর কুমারের এই ভ্রমণ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভ্রমণের পাশাপাশি তিনি রক্ত দান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মাদকবিরোধী জনসচেতনতা বার্তা প্রচার করে থাকেন। এবারও তিনি পুরো ভারতে বাইসাইকেলে নিয়ে ভ্রমণে সেই বার্তাই দিবেন। তিনি প্রথমে ভারতের ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে ভ্রমণ যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে অন্যান্য রাজ্য ভ্রমণ করবেন।
বীর কুমার তঞ্চঙ্গ্যার মা কুশিক্কো তঞ্চঙ্গ্যা গৃহিণী ও বাবা সুশীল তঞ্চঙ্গ্যা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্না ইউনিয়ন এর বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষি কাজ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকে একজন ভ্রমণপিপাসু। সাইকেলে ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন। ২০২১ সালে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বীর কুমারের ভারত ভ্রমণের জন্য সাইকেল স্পন্সর করেছে পানাম সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈসিং।
ভারতে ভ্রমণের বিষয়ে বীর কুমার বলেন, আমার এ স্বপ্নময় ভ্রমণের জন্য যারা শুরু থেকেই পাশে আছেন তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করি, সবাই এভাবে পাশে থাকবেন যাতে আমি ভ্রমণের মাধ্যমে আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। আর সবাই আশীর্বাদ করবেন যেন সুস্থভাবে ভ্রমণটা শেষ করতে পারি।
উল্লেখ্য, এর আগে বীর কুমার বাংলাদেশের দীর্ঘতম রোড টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা বাইসাইকেলে ভ্রমণ করতে তার চলতি বছরের ৮ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ৪০ দিন সময় লেগেছিল।