নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে জীবনের ঝুঁকি কমাতে এগিয়ে আসতে হলো এলাকাবাসীকেই। জুরাছড়ি উপজেলার দীর্ঘ দিনের চরম ভোগান্তি ছিল দেবাছড়া গ্রামের পথে জরাজীর্ণ একটি বাঁেশর সাঁকো। ১নং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতো এলাকার স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। অনেক সময় নানা দুর্ঘনার শিকার হয় তারা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছে এলাকাবাসী অনেকবার ধর্ণা দিয়েও নানান আশ্বাসের পরও এই ব্রিজটি আজ অবধি নির্মাণ হয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে
এলাকাবাসী শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে ৩২০মিটার দৈর্ঘ্যরে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা করেছে এলাকাবাসী। খেটে খাওয়া এসব দিন মজুরের এমন মহান উদ্যোগ এরই মধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দয়াময় চাকমা বলেন, আমরা জুম চাষ করে খাওয়া মানুষ। এই ব্রিজটি আমাদের কষ্টের টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমরা কোনো সহযোগিতা পাইনি। সাবেক মেম্বার এ কাজের উদ্যোক্তা, তার কাছে টাকা জমা রেখেই আমরা ব্রিজটি করেছি।
খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থী প্রীতিময় চাকমা বলেন, জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে আমার খুব ভয়
হতো। সে কারণে আমার বাবা-মাসহ সবাই মিলে টাকা তুলে নতুন কাঠের ব্রিজ তৈরি করেছে। এখন স্কুলে যেতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবে একটা ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি
আবেদন জানায় সে।
এ বিষয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিরঙ্গ মোহন চাকমা বলেন, আমার এই এলাকার মানুষগুলো অত্যন্ত দরিদ্র। প্রতি পরিবার থেকে দুইশ’-তিনশ’ টাকা উত্তোলন করে এই ব্রিজটি তৈরি করেছে। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও অনুদান পায়নি। তিনি
বলেন, প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি কাঠের ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ার আগেই যাতে সরকারিভাবে স্থায়ী একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।