নিজস্ব প্রতিবেদক, দীঘিনালা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এক কিশোরীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে রাত ৩টার দিকে পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রশিকনগর গ্রামে ঘটেছে বলে জানান পুলিশ।
জানা যায়, সে রাতে রশিকনগর বটতলী বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। নিহত কিশোরী শুরুতে ওয়াজ মাহফিলে উপস্থিত ছিল। কিন্তু রাত ১১টার দিকে রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন মাদ্রাসা থেকে প্রায় ২কি. মি. দূরে খেলার মাঠে কিশোরীর লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরে রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে। তখনো লাশের পরিচয় সনাক্ত করতে না পেরে বিষয়টি মাইকে প্রচার করা হয়। এরপর ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ শনাক্ত করে।
নিহত সালমা আক্তার (১৫) রশিক নগর গ্রামের আব্দুস সোবাহানের মেয়ে। সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা হলো একই গ্রামের মো. কালাম মিয়ার ছেলে মো. ইউনুস (১৯), মো. জালাল মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ (২০) এবং ইয়ারব এর ছেলে মো. শুক্কুর আলী (২৮)।
নিহতের পিতা সোবাহান জানান, মেয়ে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়েছিল, সেখানে মেয়ের সাথে তাঁর দেখাও হয়। তিনি আরো জানান, আটককৃত তিনজনই তাঁর মেয়েকে সবসময় বিরক্ত করতো। সেকারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার পর দেড় বছর আগে থেকে মেয়েকে মাদ্রাসায় পাঠানো বন্ধ করে দেন। জায়গা জমি নিয়েও আটককৃতদের সাথে বিরোধ রয়েছে।
মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি জানান, ঘটনাস্থলে নারী পুলিশের সাথে আমিও লাশ পর্যবেক্ষন করেছি। তাতে প্রাথমিকভাবে ধারনা ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং ওড়না খোলার পর গলায় কালো দাগ দেখা যায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়ার যাবে। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।