ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ॥
দেখলে মনে হয় কোন কচুরিপানার ডোবা, যেখানে বসে নানা রকম পাখি খেলা করছে। আদতে এটি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। বুধবার বিকেলে কাপ্তাই উপজেলার ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র আপস্ট্রিম জেটিঘাট এলাকা সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
জেটিঘাট পল্টুন সংলগ্ন এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাপ্তাই হ্রদে কচুরি পানার বিশাল বহরে দুর্ভোগ পড়ছেন এই ঘাট দিয়ে চলাচলকারী শত শত যাত্রী এবং বোট চালকরা। মাত্র ৫ মিনিটের জায়গায় পৌঁছাতে সময় লাগছে ঘন্টার উপর। যার ফলে গত মঙ্গলবার হতে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি লাইনের বোট ইঞ্জিন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বোট মালিক সমিতির লাইনম্যান শীতল সরকার এই প্রতিবেদককে জানান, বুধবার সকাল ৯টা হতে ১২টা পর্যন্ত একটি ইঞ্জিন চালিত বোট জেটিঘাট হতে বিলাইছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেই মাঝপথে কচুরিপানায় আটকে পড়ে। শেষ পর্যন্ত পল্টুনে ফিরে আসে বোটটি।
কাপ্তাই জেটিঘাট মৎস্য চাষী মো. ইউনুস জানান, বিগত ১ সপ্তাহ যাবৎ কাপ্তাই হ্রদ এবং এর আশেপাশে লাগাতার বৃষ্টির ফলে এই হ্রদ দিয়ে চারদিক হতে ছুটে আসে কচুরিপানা। হ্রদের বিভিন্ন এলাকা হতে কচুরিপানা এসে জেটিঘাট পল্টুন, কার্গো এলাকা, জেলেপাড়া, স’মিল, কাপ্তাই বাঁধ, শহীদ শামসুদ্দিন ঘাটসহ জেটিঘাটের আশেপাশে এলাকায় এসে জলজট সৃষ্টি হয়। যার ফলে কাপ্তাই-বিলাইছড়ি উপজেলা নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।কোন নৌ চলাচল করতে না পাড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পড়ছে সাধারণ লোকজন।
মৌসুমী ব্যবসায়ী কালাম ও কণা তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বিশাল কচুরিপানা জটের ফলে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা হতে উৎপাদিত ফসল কৃষকরা বাজারে আনতে পারছে না।
কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, কচুরিপানা জটের ফলে এলাকার সর্বস্তরের লোকজনের ক্ষতি হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি পরিবার হ্রদে আটকে পড়ায় বহু কষ্ট করে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাযোগ রাখছি হ্রদ হতে কচুরিপানা অপসারণের জন্য। ইতিমধ্যে পিডিবি কর্তৃপক্ষ কিছু কচুরিপানা অপসারণ করেছেন। সামনে আরোও কিছু অপসারণ করা হবে বলে জানান তিনি।