নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো পৃথিবী। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে বিশ্বের ১৯৯টি দেশে। বৈশ্বিকভাবে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি আছেন পৃথিবীর কয়েক কোটি মানুষ। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও এ পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।
এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে পার্বত্য জনপদে নভেল করোনাভাইরাস ও হাম পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে দেড় কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ৫০ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কেবলমাত্র পার্বত্য জনপদের মানুষের জন্যই। ইতোমধ্যে দেশের এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে ৫০ লাখ টাকা হারে দেড় কোটি টাকা অনুদান দিয়েছি। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য জীবাণুনাশক সামগ্রীও দেয়া হয়েছে। আপাতত এই অনুদানের টাকা দিয়ে তারা সংকট মোকাবিলা করুক।
“ইতিমধ্যে পাহাড়ের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় হাম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আমরা হাম আক্রান্ত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে সেবা পৌঁছানো ও বর্তমান নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এই অনুদান প্রদান করেছি। আমাদেরকে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হবে সচেতনতার মধ্য দিয়েই। করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে কেন্দ্র করে অনেক সাধারণ মানুষ হয়ত সামনে কর্মক্ষম হয়ে পড়বেন; তাদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি বরাদ্দ জেলা প্রশাসকের কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে” বলেও জানান বীর বাহাদুর ।
বীর বাহাদুর জানিয়েছেন, ‘তবুও যদি আরও ত্রাণের প্রয়োজন হয়, তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য জনপদের মানুষের জন্য সর্বদা সজাগ রয়েছে। আমি প্রতিটা মুহূর্তেই তিন পার্বত্য জেলার সবদিকেরই খবরাখবর রাখছি।’