রামগড় প্রতিনিধি ॥
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উদ্ভাবিত বারোমাসি কাঁঠালের জাত কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের জাতীয় ফলটি বছরজুড়ে সহজলভ্য হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কাঁঠালের বাণিজ্যিক পরিধিকে আরও বৃদ্ধি করাও সম্ভব বলে মন্তব্য তাঁদের।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) বারোমাসি কাঠাঁলের জাত উদ্ভাবন শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কাঁঠাল উৎপাদনে আধুনিক কলাকৌশল’ এর ওপর কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি বিজ্ঞানীরা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
রবিবার সকালে রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনাররুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ফল বিভাগ উদ্যানতত্ত্ব বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে ৩০ ফল চাষীসহ ৫০জন এতে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস. এম. ফয়সল। বক্তব্য দেন উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম, রামগড় উপজেলা সম্প্রসারণ কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী।
প্রকল্পের প্রিন্সিপালইন ভেস্টিগেটর ও ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে কাঁঠাল চাষের আধুনিক কলাকৌশলের মূল বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি কাঁঠালের গ্রাফটিং পদ্ধতি ও অন্যান্য উৎপাদন প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান এবং মাঠে কাঁঠালের বিদ্যমান সমস্যা ও তার সমাধানের ওপর আলোকপাত এবং প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে সারাবছর অধিক পরিমাণে মানসম্পন্ন কাঁঠাল পাওয়া যাবে এবং চাহিদা মোতাবেক প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য একই সাথে অধিক পরিমাণ কাঁঠাল সহজলভ্য হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে কাঁঠালের উৎপাদন যেমন বাড়বে, পাশাপাশি দেশের জনগণের পুষ্টিচাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রসঙ্গত, বারোমাসী বারিকাঠাল-২ উদ্ভাবন ২০১০ সালে এবং বারিকাঠাল-৩ উদ্ভাবন ২০১৪ সালে প্রথম রামগড় পাহাড় অঞ্চল কৃষি গবেষণা থেকে কেন্দ্রে উদ্ভাবন করা হয়।