নিজস্ব প্রতিবেদক
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার পাশর্^বর্তী রাউজান উপজেলার চারা বটতল এলাকা রাস্তার পাশের জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবদুল মান্নান এর আত্মীয় মো. জিরামন জানান, রাঙ্গুনিয়া থেকে আব্দুল মান্নানকে দুপুর ১টার দিকে ৪-৫জন ধরে নিয়ে এসে জলিল নগর একটি মার্কেটে মারে, পরে তারা মান্নানকে চৌধুরী মার্কেটের পাশে ফেলে চলে গেলে, এলাকার লোকজন দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করে জে কে মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করলে, মৃত্যু সনদের জন্য রাউজান উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে সাড়ে তিনটার দিকে তার মরদেহ বেতবুনিয়া ডাকবাংলো এলাকায় তার নিজ বাসায় নিয়ে আসা হয় পরিবারের কাছে। তবে তাকে কেন মারা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব চন্দ্র কর মৃত্যুর ঘটনা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বটতল এলাকা থেকে আব্দুল মান্নান পড়ে আছে এমন খবর শুনে পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাউজান বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছে বলে শুনেছি। তবে এই বিষয়ে কেউ কাউখালী থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামশুদ্দোহা চৌধুরী জানান, গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই উপজেলা ছাড়া। এরমধ্যে যে কয়েকজন আছে তাদেরও নানান ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আব্দুল মান্নানও যে এলাকায় থাকে সেখানে আজ(বুধবার) সকালে বাজারে কয়েকজন স্থানীয় লোকজন এলোপাতাড়ি হামলা করে। পরে যেটা শুনেছি হামলার খবর শুনে মান্নান সিএনজি যোগে এলাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে কয়েটি মোটরসাইকেল তাকে তাড়া করে। ধারণা করছি রাজনৈতিক কারণে তাকে মেরে ফেলে রাখে।