জয়নাল আবেদীন, কাউখালী ॥
বৃহস্পতিবার থেকে থেমে থেমে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি উপজেলা কাউখালীতেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের পাহাড়ধসের শঙ্কা। এইর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে মাইকিং সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসনের প্রধান কর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জনপ্রতিনিধিরা।
শনিবার সকাল থেকে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের আহবান জানাতে দেখা গেছে।
এরইমধ্যে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২৬ টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ৩৬টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া জানান, শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঘাগড়া ইউনিয়ন সকল ওয়ার্ডের, কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল, মাঝেরপাড়া, বেতবুনিয়া ইউনিয়ন ও দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের সকল এলাকায় ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে সরতে বলা হয়েছে। নিজেরা সরে না আসলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে। পাহাড় ধসের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জুনে কায়েকদিনের টানা ভারী বার্ষণের ফলে ব্যাপক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় কাউখালীতে পাহাড় ধসে মাটি চাপায় মারা যায় ২১ জন।