অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ॥
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বর্তমানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা শুরু হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলের মাঠজুড়ে বোরো ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। ঘন কুয়াশা এবং কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় চাষীদের।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, চিৎমরম, ওয়াগ্গা এবং রাইখালী ইউনিয়নে এই মৌসুমে ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। বোরো মৌসুমের বিভিন্ন উচ্চফলনশীল জাতের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের চাষাবাদও হচ্ছে। উফশী জাতের মধ্যে ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২, ব্রি ধান-১০০,১০১,১০২,১০৪,১০৫ প্রভৃতি জাতের ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় চাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে। এবং সার্বক্ষনিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
কাপ্তাইয়ের স্থানীয় কৃষক সমিরণ তঞ্চঙ্গ্যা, মোঃ শামসুল রহমান সহ একাধিক কৃষক জানান, উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও সমতল ভূমিতে আমরা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও নির্দেশনায় বোরো ধানের আবাদ শুরু করেছি। তবে বর্তমানে সার ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে বোরো চাষাবাদে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে চাষাবাদের পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বিগত বছরের ন্যয় এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করা যাচ্ছে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, প্রতিবছরই কাপ্তাই উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়ে থাকে। সেইসাথে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে থাকে। এবারও আমরা আশা করছি, এই মৌসুমেও স্থানীয় চাষীরা বোরোর আবাদে বেশ লাভবান হবেন। তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে স্থানীয় কৃষকদের ফসল চাষে উৎসাহী হতে এবং দক্ষ করে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করেছে।
উপজেলার প্রতিটি ব্লকে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা সরজমিনে গিয়ে কৃষকদের বোরোর আবাদে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে পতিত জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া সহ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে কৃষি অফিস ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
আবহাওয়া পরিস্থিতি ও পরিবেশ অনূকুলে থাকলে এবারও কাপ্তাইয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।