অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় এবং সমতলের উভয় জমিতে মিশ্র ফল বাগান করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষীরা। বিশেষ করে কৃষি বিভাগের সহায়তা নিয়ে চাষীরা এক বাগানে বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি কৃষিজ ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
কাপ্তাই কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে গত পাঁচ বছর যাবৎ প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষি অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে মিশ্র ফল বাগান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেক চাষী নিজস্ব মালিকানায় মিশ্র ফল বাগান করে যাচ্ছে। যেখানে কাপ্তাই কৃষি বিভাগ সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করছে। সবমিলিয়ে কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে মিশ্র ফল বাগানের চাষ হয়ে থাকে।
সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কয়েকটি মিশ্র ফলবাগান পরিদর্শন করেছে কাপ্তাই কৃষিবিভাগ। যেখানে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান আহমেদের সাথে। তিনি জানান, বর্তমানে কাপ্তাই উপজেলায় মিশ্র ফল বাগানে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে একই বাগানে মাল্টা, বাতাবী লেবু, কাগজি লেবু, কমলা সহ বিভিন্ন ফল একসাথে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। এসব বাগানে একসাথে পরিচর্যা করার ফলে ফলনও ভালো হয়ে থাকে। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা এই মিশ্র ফল বাগান করে লাভবান হচ্ছেন।
এদিকে মিশ্র ফল বাগান করে স্বাবলম্বী হওয়া কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা প্রথম পর্যায়ে মিশ্র ফল বাগানের এই সুবিধা সম্পর্কে জানতাম না। কিন্তু কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তা নিয়ে আমরা মিশ্র ফল বাগান চাষ শুরু করি। এবং পাহাড়ে মাল্টা, কাগজী লেবু, বাতাবী লেবুর ফলন ভালো হয় বলে এসব ফলের চাষ শুরু করি। বর্তমানে এতে করে আমাদের আয় রোজগার খুব ভালো হচ্ছে। অল্প পরিশ্রমে একসাথে একাধিক ফলের চাষ করে বিক্রয় করতে পারছি। সেই সাথে আমরা সবাই সাবলম্বী হচ্ছি।
কাপ্তাই কৃষিবিভাগের মিশ্র ফল বাগান পরিদর্শনে আরো অংশ নেন ওয়াগ্গা ব্লগের উপ সহকারি কৃষি অফিসার আবু সালেহ, কাপ্তাই ব্লগের উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. ইকবাল, কেপিএম ব্লগের উপ সহকারি কৃষি অফিসার মো. মাসুদ, ব্যঙছড়ি ব্লগের উপ সহকারি কৃষি অফিসার অরুপম বড়ুয়া, এবং রেশম বাগান ব্লগের উপসহকারি কৃষি অফিসার বাপ্পা মল্লিক। তারা সকলেই জানান, প্রতিটি ব্লগের মিশ্র ফল বাগানগুলো আমরা প্রতিনিয়ত পরিদর্শন করি এবং চাষীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করে সহায়তা করি।