অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই ॥
আমের বিভিন্ন জাতের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে পাহাড়ের আম্রপালি জাতের আম। যেই আমটি দেখতে যতটা সুন্দর, খেতেও বেশ সুস্বাদু। অনান্য জাতের আমের চেয়ে এই আমের চাহিদাও তাই অনেক বেশি।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার হাট বাজারগুলোতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে আম্রপালি বিক্রয়। আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই আমটি বিক্রয় শেষ হয়ে যাবে। তবে আম্রপালির পাশাপাশি বাজারে মিলছে রাংগুই, মল্লিকা, হাঁড়িভাঙা সহ বিভিন্ন জাতের আম। বর্তমানে স্থানীয় বিক্রেতারা এই আম বিক্রয় করে বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছে। তাছাড়া এ বছর পাহাড়ে আমের ভালো ফলন হওয়াতে ক্রেতারা বিপুল পরিমাণ আম সংগ্রহ করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি, শীলছড়ি, নতুন বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে কথা হয় আম বিক্রেতাদের সাথে। তারা অধিকাংশ জানান, শহরের তুলনায় অনেক কম দামে কাপ্তাইয়ে মিলছে রূপালী জাতের আম। বিশেষ করে যেসব আম শহরে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রয় হয়, সেগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আবার অনেক ক্রেতা রাংগুই আম ৩ কেজি ১০০ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে। তুলনামুলক অনান্য বছরের তুলনায় আমের এবার ভালো ফলন হওয়াতে চাষী যেমন লাভবান হয়েছেন তেমনি অনেক সস্তায় কাপ্তাইয়ে পাওয়া যাচ্ছে আম। সেইসাথে ক্রেতারাও পছন্দের আম কিনতে পেরে অনেক খুশি। দেশীয় জাতের আমের পাশাপাশি বিদেশী জাতের যেমন ব্যানান ম্যাংগো, মিয়াজাকি জাতের আমও অনেকে বিক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইমরান আহমেদ জানান, পাহাড়ের এই আম্রপালি স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে। এছাড়া দেশি, বিদেশি বিভিন্ন জাতের আম চাষ করে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় চাষীরা বেশ লাভবান হয়ে থাকে। কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে চাষীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরের মতো এবারেও কাপ্তাইয়ে ভালো আমের ফলন হয়েছে। বিশেষ করে পাহাড়ের এসব আমের কদর রয়েছে দেশজুড়ে। আমরা ধারণা করছি, চাষী ও বিক্রেতারা এবারও বেশ লাভবান হবেন।