বিশেষ অতিথি, কাপ্তাই
দীর্ঘ চার মাস ১২ দিন কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শেষে চলতি বছরের গত ৩১ আগস্ট মধ্য রাত হতে আবারও কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছিল। ফলে রাঙামাটির কাপ্তাই জেটিঘাটে অবস্থিত একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছিল। এসময় দিন রাত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা কাপ্তাই হ্রদ হতে মৎস্য আহরণ করে বোটযোগে সারি সারি কার্প জাতীয় মাছ, ক্যাটফিশ জাতীয় মাছ, চাপিলা, কাচকিসহ নানা জাতের মাছের নিয়ে ভিড় করছিলেন। আর ব্যবসায়ীরা শুল্ক পরিশোধ করে সেসব মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে তুলেছেন ট্রাকে।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন উপ কেন্দ্রের প্রধান মাসুদ আলম গত শনিবার এই প্রতিবেদককে বলেন, ৩১ আগস্ট মধ্য রাত হতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৩ হাজার ২ শত ৬৩ টাকা। তিনি আরোও বলেন, গত শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৫ শত ৫২ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এই অবতরণ কেন্দ্রে শুল্ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসায়ীরা বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে গেছেন। এই বছর হ্রদে পানি পরিমাণ বেশি হওয়ায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় আমরা সুষ্ঠুভাবে মাছের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এই বছর হ্রদে পানি বেশি থাকায় ও মাছ ধরা বন্ধকালীন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক পর্যাপ্ত টহলের ব্যবস্থা থাকায় কাপ্তাই লেকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে।