জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটিতে হাঠাৎ কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। থেমে থেমে বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে শহরের রিজার্ভ বাজার, আসামবস্তি, পাবলিক হেলথ, তবলছড়ি, শান্তি নগর এলাকার কাপ্তাই হ্রদ-তীরবর্তী অনেক বাড়ি ও সড়কে পানি উঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বৃহস্পতিবার রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ রয়েছে ১০৭.৫৬ এমএসএল যেখানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী বছরের এই সময়ে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ১০১.৯৯ এমএসএল।
কর্ণফুলি জনবিদ্যুৎ কেন্দ্ররে ব্যবস্থাপক মো. আব্দুরজ্জাহের জানান, পানির স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করায় শুক্রবার থেকে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে জানান তিনি। গত ২৪ ঘন্টায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে মোট ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছে।
শহরের শান্তি নগর এলাকার বাসিন্দা আফরোজা বেগম জানান, সকাল থেকে রুমে পানি প্রবেশ শুরু করে। দুপুর হতে ঘাটের ওপর সবাই বসে আছি। রুমের আসবাপত্রগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। রাতে পানি আরও বাড়লে বাসার থাকা যাবে না। এখন কোথায় যাব আমরা।
৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. রবিউল আলম বলেন, হ্রদে পানির প্রয়োজন আছে। কিন্তু হ্রদে পলি জমে হ্রদে নাব্যতা কমে আসায় এই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। হ্রদে ড্রেজিং করা না হলে প্রতি বছর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। হ্রদের সীমানা অনুযায়ী এখনো বিপদসীমা পার হয়নি। তবুও পানি কমানোর বিষয়ে কাজ চলছে। পানি আরও বড়লে তখন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।