মিশু মল্লিক ॥
‘কাপ্তাই লেকে কাটবে সাঁতার, ভয় করবে জয়, নিয়মিত কাটলে সাঁতার স্বাস্থ্য ভালো রয়’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুবলং চ্যানেল সুইমিং। শনিবার সকালে সুবলং বাজার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কাপ্তাই হ্রদের মোট ১৩.৫ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পাড়ি দেয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া বেঙ্গল ডলফিন’স সাঁতারু দল এবং স্থানীয় সাঁতারু মিলে মোট ২৬ প্রতিযোগী। নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন ১৫ প্রতিযোগী।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বরগুনার সাইফুল ইসলাম রাসেল, দ্বিতীয় হয়েছেন সাতক্ষীরার তৌফিকুজ্জামান, তৃতীয় হয়েছেন ফেরদৌউস আলাম এবং একমাত্র নারী অংশগ্রহণকারী সোহাগী আক্তার ষষ্ঠ হয়েছেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া নরসিংদী রানার্সের এডমিন সবুজ সিকদার বলেন, আমি একজন লং ডিস্টেন্স রানার এবং সুইমার। আমি সারাদেশে সুইমিং করে থাকি। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের মানুষের মধ্যে সাঁতারকে জনপ্রিয় করে তোলা। পাশাপাশি আমরা সাঁতার না জানার কারণে অকাল মৃত্যু রোধের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিযোগিতার একমাত্র নারী প্রতিযোগী মোছাম্মোৎ সোহাগী আক্তার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে কাপ্তাই হ্রদে সাঁতারের ব্যাপারে এখানকার স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ভয়-ভীতি রয়েছে। আমরা সেই ভয়কে দূরের লক্ষ্যে কাপ্তাই হ্রদকে এই প্রতিযোগিতার জন্য বেছে নিয়েছি। আমি নিজেও তিনবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছি।
রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফেরদৌউস আলম বলেন, রাঙামাটির শিশু কিশোররা যাতে কাপ্তাই হ্রদকে আর ভয় না পায় সেজন্যই আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাঁতারুরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। আমি আশা করছি সাঁতারের এই বিপ্লব রাঙামাটির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে যাবে।
প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে জেলা শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। তিনি আগামী বছর রাঙামাটি-কাপ্তাই রুটে এই প্রতিযোগিতার আয়োজনের ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, রাঙামাটি পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা।