ডেস্ক রিপোর্ট ॥
পার্বত্য চট্টগ্রামের তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র বিমোচন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ সম্প্রসারণঃ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনা ও সদস্য প্রশাসন মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব)। বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (উপসচিব)।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে মো. জসীম উদ্দিন বলেন বস্ত্রের প্রধান কাঁচামাল তুলা। একসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম কার্পাস মহল নামে খ্যাতি ছিলো। কালের বিবর্তনে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজ সেই কার্পাস মহল পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্যাতি হারিয়ে গেছে। তুুলা চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে কার্পাস মহল হারিয়ে যাওয়া অতীতের খ্যাতি পুনরদ্ধারে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এছাড়া তিনি তুলা চাষের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেন, দেশের তুলার ব্যপক চাহিদার ঘাটতি মেটানো এবং আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধিতে দেশীয় তুলাচাষ বৃদ্ধি ও তুলার উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এসময় বোর্ডের বাজেট ও অডিট অফিসার এবং পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মোঃ নুরুজ্জামান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি এ প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বলেন,পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের মেয়াদকালীন বিভিন্ন ধরনের মোট ৯৮৪০ টি প্রদশনী প্লট বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে এ প্রকল্পের মাধ্যমে অনগ্রসর তুলা চাষীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বীজ, সার ও কৃষিজ উপকরণ প্রদান এবং মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মীদের মাধ্যমে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মোঃ মনিরুজ্জামান, তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান কার্যালয়ের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা (পরিকল্পনা) মাহমুদুল হাসান, খাগড়াছড়ি জেলার প্রধানতুলা উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল কার্যালয়ের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, বান্দরবান জেলারপ্রধান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল কার্যালয়ের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন বক্তব্য রাখেন। রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার কৃষক ধর্মমনি চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার রাহুল চন্দ্র চাকমা, বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার কৃষক মিজ কুমার তঞ্চগ্যা প্রমূখ কর্মশালায় অনুভূতি প্রকাশ করেন। উক্ত কর্মশালায় বোর্ড ও বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তাসহ সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।