ভারতের কাশ্মীরের ডাল লেকে হাউজবোটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে রাঙামাটি রাঙামাটি গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশল অনিন্দ্য কৌশল মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানা যাচ্ছে,শনিবার রাতের এই অগ্নিকান্ডে যারা মারা গেছেন,তাদের মধ্যে অনিন্দ কৌশল ছাড়াও আছেন একই বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশ গুপ্ত, ঠিকাদার মাইনুদ্দিন।
কাশ্মীরের শ্রীনগর পুলিশ নিহত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করে জানিয়েছে, লেকের ৯ নম্বর ঘাটে ‘সাফিনা’ নামে একটি হাউজবোটে অবস্থান করছিলেন নিহত এই ৩ জন সহ মোট ৮ জন। পুলিশ জানিয়েছে,নিহতদের সাথে থাকা কাগজপত্র ও হাউজবোটে নিবন্ধিত ডকুমন্ট থেকে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগুনের কারণে ৫ টি হাউজবোট,আশেপাশের সাতটি বসত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে, গরম করার কোন যন্ত্র থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণার কথা বলছে পুলিশ। নিহতদের মরদেহ হস্তান্তরের আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে ডিএনও পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে বলেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শ্রীনগর পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার পরপরই আশেপাশের হাউসবোট থেকে আরও বেশ কয়েকজন পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত না করে, একই বিভাগের রাঙামাটির উপ সহকারি প্রকৌশলী জয় বড়ুয়া জানাচ্ছেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি,তবে এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা। নানাভাবে খবর নেয়ার চেষ্টা করছি। স্যার ( অনিন্দ্য কৌশল) গত ৩ নভেম্বর ভারতে গেছেন। তিনি আজমীর শরীফ যাওয়ার কথা। সেখান থেকে কাজ শেষে কাশ্মীরে যাচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু এই ঘটনা…………। কিছুই বুঝতে পারছিনা।’ একই ঘটনায় নিহত বাকি দুইজনকেও চেনেন চলে জানিয়েছেন জয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান এই প্রতিবেদকের কাছে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে যান। তিনি জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী ভারতে আছেন সেটা জানি। তিনি খুবই ভালো মানুষ। এমন ঘটনা শুনে খুব খারাপ লাগছে। আমি এখনই খবরাখবর নিচ্ছি।’
এদিকে ডাল লেকে অগ্নিকান্ডে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনার গভীর শোক প্রকাশ করে জুম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, ‘“শ্রীনগরের ডাল লেকে দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আমি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে,”।