মো:ইসমাইল, পানছড়ি
যুবনেতা প্রদীপ লাল চাকমা ও কুসুম প্রিয় চাকমা কে হত্যার ২৫ বছর আজ। তাঁদের স্মরণে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে শোক ও স্মরণ সভা পালন করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পুজগাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কুসুম প্রিয়- প্রদীপ লাল স্মৃতিস্তম্ভে এলাকাবাসী, পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ, পিসিপি, ডিওয়াইএফ, পার্বত্য নারী সংঘ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, উপজাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনসমুহ পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। অন্যদিকে সকাল ১১টায় চেঙ্গী ইউনিয়নের বড়কলক এলাকায় শোক ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক ও স্মরণ সভায় শুরুতে পার্বত্য চট্রগ্রামে সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
পিসিপি নেতা সুনীল চাকমার সঞ্চালনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পানছড়ি থানা শাখার সভাপতি তৃঞ্চাকর চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তি জীবন চাকমা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিতা ত্রিপুরা, ইউপি চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা, ভূমিধর রোঁয়াজা, পার্বত্য চট্রগ্রাম নারী সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা চাকমা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কালাচাঁদ চাকমা, অনিল চন্দ্র চাকমা, অসেতু বিকাশ চাকমা, সুব্রত চাকমা, পিসিপি’র সাবেক সভাপতি ও ইউপিডিএফ’র সংগঠক সুমেন চাকমা, পানছড়ি ইউনিটের সম্বনয়ক আইচুগ ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম পানছড়ি উপজেলা সভাপতি এস মঙ্গল চাকমা, সম্রাট চাকমা, জিনেট ত্রিপুরা, পার্বত্য নারী সংঘের সাবিনা চাকমা, রিপন ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন এলাকার কার্বারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ও খুনের রাজনীতির প্রতিবাদ করায় ১৯৯৮ সালের এই দিন খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লতিবানে জনসংহতি সমিতি তথা সন্তু লারমা ঘাতক লেলিয়ে দিয়ে কুসুম প্রিয় চাকমা ও প্রদীপ লাল চাকমাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এটি ছিল পার্বত্য চুক্তির পর প্রথম ভ্রাতৃ হত্যার ঘটনা। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছরেও খুনিরা রয়েছে এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সংঘাত নয় ২০১৮ সালের চুক্তি সাপেক্ষে যার যার সাংগঠনিক এলাকায় জনগনের পক্ষে কাজ করে শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার আহ্বান জানান বক্তারা।