জিয়াউল জিয়া
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন পর নিউট্রিশন এন্টিপ্রিনিউরশিপ এন্ড রেজিলেয়েন্ট ইন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকল্পের রাঙামাটি অঞ্চলের আঞ্চলিক বিপণন কর্মশলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি বিপণন এজেন্সি প্রোগ্রামের ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ আল-ফারুক। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক ওমর মো. ইমরুল মহসিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক তপন কুমার পাল, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, রাঙামাটি কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, রাঙামাটি থেকে ৩০০ জন, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে ২০০ জন করে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় মার্কেটিং হাব তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে কৃষক তার পণ্য সহজেই বিক্রি করতে পারবে। যার ফলে কৃষক তাঁর পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে।
পাহাড়ে কাজু বাদামের প্রচুর সম্ভবনা রয়েছে। পাহাড়ে এটি ছড়িয়ে দিতে কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাঙামাটিতে ৮০০ জনকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা হবে। তাদের ৭০ শতাংশ যন্ত্রপাতি প্রকল্প থেকে দেয়া হবে। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য এটাই নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। বাজারজাত পক্রিয়া, পরিবহন এবং সিন্ডিকেটের কারণে প্রান্তিক কৃষক তার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। তাই প্রতি জেলায় ২০ টি হাবের মাধ্যমে কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাবে আশা করি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পরিচালক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় কৃষির ব্যাপক উৎপাদন হয়। এখনকার ফল ফরমালিমুক্ত হওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বিষয়টি চিন্তা করে তিন জেলায় চাহিদা বিবেচনায় হিমাগার তৈরির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।