নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি ও রামগড় ॥
খাগড়াছড়িতে একই দিনে ৩টি পৃথক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে প্রেমিক আত্মহত্যা করলেও প্রেমিকা বেঁেচ যান। তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার আত্মহত্যার ঘটনাগুলো ঘটে।
জানা যায়, জেলার গুইমারা উপজেলার সিন্দুকছড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে একই সাথে কিশোরীও আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও সে বেঁচে গেছে। তাকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠায় পাড়া-প্রতিবেশি তা মেনে না নেয়ায় তারা জেদ থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে তবেন জয় ত্রিপুরা (১৮) নামের এক কিশোরের মৃত দেহ উদ্বার করে। অন্যদিকে স্থানীয়রা কিশোরীকে (১৮) উদ্বার প্রথমে মহালছড়ি হাসপাতালে এবং পরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
কিশোরীর বাবা খঞ্জয় ত্রিপুরা বলেন, ছেলের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি ছিল না। আজকে(রবিবার) বিকালে সামাজিক মীমাংসা করার কথা ছিল। ছেলে মেয়ে উভয়কে স্থানীয় পাড়া প্রধানের জিম্মায় রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে একসাথে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ছেলে মারা গেলেও আমার মেয়ে বেঁচে যায়।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কর জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের বাস টার্মিনাল এলাকায় আব্দুল মোতালেব(২৯) নামে এক শ্রমিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি মাটিরাঙ্গায় ধনমিয়া সর্দার পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। পরিবারের দাবী জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা করে।
নিহত মোতালেবের বড় ভাই আব্দুল বারেক বলেন, সে প্রায় জুয়া খেলত। খেলায় হেরে আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গতকাল গভীর রাতে বাস টার্মিনাল এলাকায় গাছের সাথে ফাঁস খেয়ে আত্মহত্যা করে।
এছাড়া জেলা সদরের কমলছড়িতে পদ্মাদেবী ত্রিপুরা(২০) নামে এক কলেজ পড়–য়া আত্মহত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে গভীর রাতে বিষ খেয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। সে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।