নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসা শিক্ষকের নির্যাতনে শিশু শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবিরের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম হাফেজ মো. আমিন হোসাইন। সোমবার রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে খাগড়াছড়িতে নিয়ে আসা হয়।
গ্রেফতারকৃত শিক্ষক পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিহত শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
এ সময় পুলিশ সুপার এ ধরণের ঘটনা বেদনাদায়ক উল্লেখ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তৎপরতা জোরদার ছিল। যার ফলে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। সংঘটিত গুরুতর জঘন্য এ ধরণের অপরাধ, হত্যার সাথে জড়িত আসামিকে তথ্য-প্রযুক্তিসহ নানা কৌশল ব্যবহার করে আইনের আওতায় আনতে পেরে স্বস্থিবোধ করছে পুলিশ।
চঞ্চল প্রকৃতির ৭ বছরের আবির ঘটনার দুই মাস আগে জেলা শহরের অদূরে ভূয়াছড়ি এলাকার বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে হেফজখানা বিভাগে পড়ালেখা করতো। গত রোববার শিক্ষক হাফেজ মো. আমিন হোসাইন শিশু আবিরকে দুষ্টুমির কারনে ডিস লাইনের সংযোগ তার দিয়ে বেধড়ক মারধর করলে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখম হয়। পরবর্তীতে শিশু আবির শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে রাত সাড়ে ১০টার অভিযুক্ত শিক্ষকসহ মাদ্রাসার অপর এক শিক্ষার্থী মিলে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তখনই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে প্রথমে রামগড়, পরে কুমিল্লা ও ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নেন শিক্ষক আমিন হোসাইন।
এ ঘটনায় ২৮ আগস্ট শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক আমিন হোসাইনকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।