খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ৩টি সরকারি ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙ্গে রড চুরির ঘটনায় ঠিকাদার উত্তম কুমার দেবকে আটক করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজনের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উত্তম কুমার দেব পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব’র ছোট ভাই।
এরআগে ওই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তার ভিত্তিতে গত ২৯ মার্চ খাগড়াছড়ির আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম ফারহান ইসতিয়াক স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজেই বাদী হয়ে মিস মামলা করেন।
ওই মামলায় পুলিশের হাতে আটক অটো চালক নাজমুলসহ ৩জনের ১৬৪ এ জবানবন্ধীর প্রেক্ষিতে ঠিকাদার উত্তম দেব হাইকোর্ট থেকে ২৮ দিনের অস্থায়ী জামিন নেন। সে অনুযায়ী তিনি রবিবার খাগড়াছড়ির আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন।
খাগড়াছড়ির জিআরও এএসআই মীর হোসেন জানান, ‘আদালত উত্তম দেবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জেনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।’
উত্তম দেব এর আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এজাহারে উত্তম দেব এর নাম ছিল না। কিন্তু হয়রানি এড়াতে হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
চলতি বছরে মার্চের মাঝামাঝি খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানছড়ির পিআইও কার্যালয় স্থানীয় ছনখোলা রাস্তার মাঝখানে এবং একই ইউনিয়নের দুর্গামনি পাড়া যাওয়ার রাস্তায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া হারুবিল-কচুছড়ি এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত একটি কালভার্টের রডও চুরি হয়ে যায়। ঘটনার জন্য শুরু থেকে উত্তম কুমার দেবকে দায়ী করা হচ্ছিল।
এই ঘটনায় গেল মাসের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঁচ মিনিট ৫২সেকেন্ড’র একটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওতে রড চুরির ঘটনায় অটো চালক নাজমুল নামের এক যুবককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসাতে চাওয়া হয় এবং তাকে পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিতে বলা হয়। অডিওতে কথোপকথনের মধ্যে নাজমুল ছাড়া অপর দুইজন হলেন স্থানীয় ঠিকাদার উত্তম কুমার দেব ও পানছড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জব্বার হোসেন। এই ঘটনায় জেলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।