অপু দত্ত, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সবশেষ সদ্য প্রকাশিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চূড়ান্ত নিয়োগে লিখিত পরিক্ষায় ফেল করা এক প্রার্থীর রোল নাম্বার রেখে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এরপর ‘কেঁচো কুড়তে গিয়ে সাপ বের হওয়ার উপক্রম’। সংশোধন আনতে গিয়ে ‘ভুলবশত’ জানিয়ে একই সাথে মোট ৫টি ক্রমিক নম্বর বাতিল করা হয়। বিপরীতে নতুন করে আরো ৪টি ক্রমিক নম্বর যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জানা যায়, গত ০৮ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনস্থ শিক্ষা বিভাগের লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২২ সেপ্টেপম্বর ১২৪৯জনকে পাস দেখিয়ে লিখিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৭৭১ রোল নম্বর ছিল না। পরবর্তীতে ০২ অক্টোবর থেকে ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উত্তীর্ণদের ০৬ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যেখানে ৭৭১ নম্বর ক্রমিকধারী চূড়ান্ত নিয়োগে চাকরি পান।
এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ চায়ের টেবিলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে পূর্বের বিজ্ঞপ্তির স্মারক তারিখ ঠিক করে সংশোধন আনা হয়। যেখানে ৭৭১ ক্রমিক বাতিল করা হলেও আরো একাধিক ক্রমিক নম্বর বাতিল ও সংযোজন করা হয়।
প্রথমে শুধুমাত্র লিখিত পরিক্ষায় ফেল করা ৭৭১ ক্রমিক নম্বর নিয়ে আলোচনা করা হলেও সংশোধনীতে আরো চারটি ক্রমিক নম্বর বাতিল করা হয়। ১৪২, ১৬৫৪, ৩২১৬ ও ৩৮৩৮। একই সাথে সংশোধনীতে নতুন করে ৮৮৪, ২০৮২ ৩২৪৬ ও ৩৮৩৭ যুক্ত করা হয়।
বিষয়টিকে ‘প্রিন্টিং মিসটেক’ বলছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব মো. সাহাব উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় কাজটি তদারকি করতে পারিনি। গভীর রাতে কাজ করতে গিয়ে ভুলটা হয়েছে। পরে চেক করে দেখেছি আমাদের কয়েকটা ভুল ছিল। আমরা তা সংশোধন করে দিয়েছি। যারা টাইপ করেছে তারা একটা ক্রমিক দিতে গিয়ে আরেকটি ক্রমিব দিয়ে ফেলেছে। আশা করি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বা ভাইবা দেয়নি এমন কাউকে পাবেন না।
এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ‘ভুল’ বলে পাশ কাটানোর সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভুল মানুষের হয়। জাতীয় পর্যায়েও এমনটা হয়। তবে আমি স্বীকার করছি এটি অনেক বড় ভুল হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছি না। আমাদের ভুল হয়েছে।
তবে এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপুর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।