ডেস্ক রিপোর্ট
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সহিংসতার জেরে নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা ৎুশাসন। শুক্রবার জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।’
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতি ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা মতে নিষেধেজ্ঞা আরোপ করা হলো। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।’
এদিকে, শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. সহীদুজ্জামান, দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল ওমর ও পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল দীঘিনালার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলেন। ঘটনার উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনসহ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দেন তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার দীঘিনালায় লারমা স্কয়ারে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিলে প্রায় শ’খানেক দোকানপাট পুড়ে যায়। একই ঘটনার জেরে গতকাল রাতে জেলা সদরের স্বনির্ভর ও নারানখাইয়া এলাকায় গুলিতে ৩জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)। নিহতদের মধ্যে জুনান চাকমা ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যাকে কেন্দ্র করে এসব ঘটনার সূত্রপাত। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় প্রত্যেককে সংযতভাবে চলার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।