বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা-জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি)’র অর্থায়নে রিভিটালাইজিং চাকমা ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কালচার প্রকল্পের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার স্থানীয় বেসরকাররি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও চাঙমা একাডেমি’র যৌথ আয়োজনে জেলার খাগড়াপুরস্থ জাবারাং রিসোর্স সেন্টারে তিনদিনব্যাপী চাকমা অভিধান পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু হয়েছে।
একাডেমি’র প্রেসিডেন্ট সন্তোষিত চাকমা বকুল-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী বিষয়ক টাষ্ক ফোর্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা।
চাঙমা একাডেমি’র নির্বাহী সদস্য অমর বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অভিধান পর্যালোচনা কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, চাঙমা একাডেমী’র ভাইস প্রেসিডেন্ট আর্য্য মিত্র চাকমা, দাতা সংস্থা সিএইচটিডিএফ-ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি জেলা গভর্ন্যান্স অফিসার সুভাস দত্ত চাকমা প্রমূখ।
বক্তারা সরকারের মাতৃভাষায় শিক্ষা চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পাশাপাশি দাতা সংস্থা, স্থানীয় ভাষা কমিটি, স্থানীয় ভাষাবিদ ও বেসরকারি উদ্যোগের জোড়ালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন- আমাদের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা লাভ। এ দাবী বাস্তবায়নে সময়ের ব্যাপারমাত্র। সরকার ইতোমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং সে অনুসারে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। সরকারের উদ্যোগকে বাস্তব রূপ দিতে জাতিসমূহের শব্দভান্ডার থাকা অপরিহার্য। আর সেই চাহিদাকে পূরণ করবে আমাদের এই অভিধান পর্যালোচনা কর্মশালা।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- “আয়োজকদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। সরকারের মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগকে আজকের শুরু হওয়া অভিধান পর্যালোচনা আরও গতিশীল ও সুসংহত করবে। সরকারের মোটা দাগে উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় ছোট ছোট উদ্যোগ ও দাতা সংস্থার এ ধরণের সহায়তা আমাদের নবাগত ও ভবিষ্যত শিশুদের মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস।”