খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ হলরুমে জাবারাং কল্যাণ সমিতি ও সেভ দি চিলড্রেন এর যৌথ উদ্যোগে জারারাং কল্যাণ সমিতি বাস্তবায়নাধীন ‘উন্নয়নের জন্য পঠন দক্ষতার প্রসার- রিড’ প্রকল্পের ৩৫টি এবং প্রকল্পের বাইরে ৩৪টি সহ মোট ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২১৩১ জন শিশুদের নিয়ে সেভ দি চিলড্রেন জাবারাং এবং ইনোভেশন কনসালটিং ফার্ম প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশুদের পঠন দক্ষতার ওপর বেইসলাইন রিডিং স্কিল এন্ড সিচুয়েশন এনালাইসিস শীর্ষক ২ ঘন্টা ব্যাপি এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য খগেশ^র ত্রিপুরা। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন কবির। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মিজ লিয়ানা গার্টস (চিফ অব পার্টি রিড প্রজেক্ট) বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি সেভ দি চিলড্রেন ও ইউএসএইড এর আলাদা আগ্রহ রয়েছে। কারণ অন্যান্য অঞ্চল থেকে এটা একটু আলাদা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।
কর্মশালায় আকতার হোসেন ভিত্তি জরিপের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আলোচনা করেন দীঘিনালা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মোঃ মাইন উদ্দীন, পানছড়ি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইনস্ট্রাক্টর মোঃ খলিলুর রহমান, সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ, দীঘিনালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝর্না চাকমা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্ধিপন চাকমা প্রমুখ।
ভিত্তি জরিপ অনুসারে জরিপের আওতাভুক্ত স্কুলগুলোর শিক্ষকদের মধ্যে ১০০% শ্রেণি কক্ষে বাংলা ভাষা ব্যবহার করেন, ৫৬% চাকমা ভাষা, ১১% মারমা ভাষা ও ৫৬% ত্রিপুরা ভাষা ব্যবহার করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ার দক্ষতার দিক দিয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ত্রিপুরা শিশুরা এবং এগিয়ে রয়েছে বাঙালি ও চাকমা শিশুরা। ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা, দারিদ্রের মাত্রা সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষার মানের এই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়।
বক্তারা শিক্ষার্থীদের ভাষা পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে একই ভাষাভাষি শিক্ষক নিয়োগ ও পদায়ন, ডেপুটেশনে শিক্ষক পদায়ন প্রক্রিয়া বাতিল, রিড প্রকল্পের কার্যক্রম সম্প্রসারণ, পাঠ্যবইগুলোতে স্থানীয় সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিটি স্কুলে কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষক পদায়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন। (বিজ্ঞপ্তি)