শুভ্র মিশু
রাঙামাটি গীতাশ্রম মন্দিরে খুঁটি পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্দির পাঙ্গণে পূজার এই আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করে গীতাশ্রম মন্দির সার্বজনীন শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন পরিষদ ২০২৩।
খুঁটি পূজা হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে খুঁটি, মাটি, খড়সহ ব্যবহৃত উপকরণগুলো পূজার মাধ্যমে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজের উদ্বোধন করা। মূলত এই পূজার মধ্যদিয়ে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এই আনুষ্ঠানিকতার রেওয়াজ এই পার্বত্যাঞ্চলে না থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও পশ্চিমবঙ্গে এর রেওয়াজ শত শত বছরের পুরানো। যা এই অঞ্চলে গীতাশ্রম মন্দিরের মাধ্যমে শুরু হলো এই বছর। আগামীতে এই আনুষ্ঠানিকতা অব্যহত রাখার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্দির পরিচালনা কমিটি।
এতে প্রতিমা শিল্পী প্রহ্লাদ পাল এর হাতে প্রতিমা তৈরির মাটি, খড় তুলে দেওয়া হয় এবং সাজসজ্জা নিউটন দত্ত ও আলোকসজ্জ্বার এর দায়িত্বে থাকা বিশ্বাস লাইটিং এর প্রতিনিধিকে বস্ত্র দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
পূজার আনুমানিকতা ছাড়াও পর্দা তুলে থিম ‘মাতৃভক্তি’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাঙামাটি গাতীশ্রম মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশীষ দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ তালুকদার, গীতাশ্রম মন্দিরের পুরোহিত ও রাঙামাটি পুরোহিত কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পুলক চক্রবর্তী।
এই সময় মন্দির পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি পুলক দে, রাজু পাল, সার্বজনীন শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন পরিষদ ২০২৩ এর সভাপতি রানা দাশ, সাধারণ সম্পাদক পিংকু দেবনাথ, অর্থ সম্পাদক রিটন সিংহ সহ মন্দির ও শারদীয় দূর্গোৎসব পরিচালক কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি রানা দে জানান, আমরা খুঁটি পূজার মধ্য দিয়ে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করলাম। এইবার আমাদের পূজোর থিম ‘মাতৃভক্তি’ । সকলকে পূজোর আয়োজনে পাশেপাব বলে আশা করছি।
গীতাশ্রম মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আশীষ দাশগুপ্ত জানান, গীতাশ্রম মন্দির রাঙামাটির ঐতিয্যবাহি মন্দির। এই মন্দিরে প্রতিবছর জেলার সবচেয়ে বড় পরিসরে পূজোর আয়োজন করা হয়। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নই। শহরবাসী জাতি ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আমাদের পূজোর আয়োজনে সামিল হয় নিজ নিজ অবস্থান থেকে। আশা রাখি এইবছরও সেই সহাবস্থান অটুট থাকবে এবং আনন্দঘন পরিবেশে পূজো অনুষ্ঠিত হবে।