খাগড়াছড়ি’র মহালছড়িতে নিরক্ষরতা ও দারিদ্রতা দুর করার কাজে নিয়োজিত বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক এর (সি,এফ,পি,আর- এস,টি,ইউ,পি) অতি দরিদ্র কর্মসূচীর আওতায় হাজাছড়ি গ্রামে একটি টিউবওয়েল স্থাপন এবং গরীব পরিবারদের মাঝে গরুর বাছুর, শুকর ছাবক ও মুরগী প্রদান করা হয়। এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুক্রবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় ব্র্যাক পরিচালিত এক স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কর্মসূচীর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো: জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় স্থানীয় গ্রাম প্রধান সোনা বরণ চাকমা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী খীসা। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহালছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক মাসুদ, বাস্তবায়িত প্রকল্পের সুবিধাভোগী উপা দেবী চাকমা, স্থানীয় গ্রামের যুবক রঞ্জন চাকমা প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলেন, ব্র্যাক এর এই কর্মসূচীর আওতায় এলাকার পানীয় জলের অভাব পূরণের লক্ষ্যে টিউবওয়েল স্থাপন ছাড়াও হাজাছড়ি গ্রামের অতি দরিদ্রদের মধ্য থেকে ৫ পরিবারকে প্রতিটি ১০ হাজার মূল্যের ৫টি গরু.১০টি করে মুরগী এবং অন্য ৯ পরিবারকে ৩টি করে শুকর ছাবক ও ১০ টি করে মুরগী দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারগুলোকে আবার প্রতি সপ্তাহে নগদ ১৬০ টাকা ও মশুর ডাল আধা কেজি করে নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে যারা গরু পেয়েছেন তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ ও মোটা তাজা করণের জন্য মাসিক ২ শত টাকা এবং যারা শুকর ছাবক পেয়েছেন তাদেরকে মাসিক ৩ শত টাকা হারে নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মহালছড়ির পুরো উপজেলার দুর্গম ও পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১০-১২টি গ্রামে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সুবিধাভোগী উপা দেবী চাকমা বলেন, ব্র্যাক এর অতি দরিদ্র কর্মসূচী বাস্তবায়নের ফলে গ্রামের অনেক সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী স্বাবলম্বী হতে পারবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক সারা দেশের দরিদ্র ও সকল দিক থেকে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে ধরণের কাজ করে যাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রসংশনীয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি এভাবে সকল বেসরকারী সংস্থা দেশের দরিদ্র ও খেটে-খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করলে দেশে দারিদ্রতা কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।