নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙামাটিতে জনবসতি এলাকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডারের ঝুঁকিপূর্ণ বিশাল মজুদ স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। শনিবার সকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রাঙামাটির টিএন্ডটি এলাকার জনগণ এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী বলেন, এলাকার মৃত এনামুল হকের মালিকাধীন তিনটি দোকান এবং জিন্নাত আলীর চারটি দোকানে জসীম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী সবসময় ২-৩ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকায় সম্প্রতি সিলিন্ডার গ্যাসের গোডাউনের পাশে আগুনে পাঁচটি দোকানঘর পুড়ে যায়। গোডাউনের আংশিক আগুন লাগলেও ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহায়তার দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হওয়ায় বিশাল ক্ষতি থেকে বেঁচে যায় এলাকার মানুষ। না হলে আরেকটি সীতাকুন্ড ট্র্যাজেডি হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে তারা অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, আগুনের ঘটনার পর এমন জনবহুল এবং ঘনবসতি এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্য রাখায় সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন এবং জানমালের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীনের শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। গুদামের পাশেই সপ্তাহে দুইদিন সাপ্তাহিক হাট বসে। এলাকার ব্যাপক ক্ষতি ও জানমাল ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এলাকা থেকে গ্যাসের গোডাউন স্থানান্তরে দাবি জানান তারা। এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আবছার উদ্দিন, মো. আব্দুল বাকের, মো. হাসান মুরাদ, মনোয়ারা বেগম, মো. খোরশেদ আলম ও রবিউল ইসলামসহ এলাকার সাধারণ জনগণ।
এই বিষয়ে যোগাযোগ জসীম এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সসহ সব নিয়ম মেনে নিরাপত্তার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছি বিগত ২০বছর ধরে। যারা অভিযোগ তুলেছে তারা আমার নিকটাত্মাীয়। মূলত জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা থেকে তারা আগুন ও নিরাপত্তার কথা বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এছাড়া আমি কল্যাণপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হিসেবে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দোকানঘর পুনঃনির্মাণের দাবি তোলায় তারা ষড়যন্ত্র করছে।