শংকর হোড় ও জিয়াউল জিয়া ॥
রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষুণœ হওয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতিসহ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল, ছাত্রদলের নয় নেতার দলীয় সকল পদ-পদবি স্থগিত করা হয়েছে। একইসাথে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্তের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
অভিযুক্তরা হলেন- বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর ফারুক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নূর উদ্দিন, পৌর যুবদলের সদস্য নুর কবির, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিন্নাত, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জুম্মান, কাচালং কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারওয়ার গাজী, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ মোল্লা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আবু নাছির ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, স্থানীয় বাঘাইছড়ি উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, আপনারা দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। এরূপ অপকর্ম থেকে বিরত থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে দলের সকল নেতাকর্মীকে বহুবার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আপনারা দলের দায়িত্বশীল পদে বহাল থেকে দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে এসকল গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকা- দলীয় সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। দলের নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকা- চালিযে দলীয় সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করায় আপনাদের সকল পর্যায়ের দলীয় সকল পদপদবি ও পদের কার্যক্রম দলের গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হল।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ জানান, চাঁদাবাজিসহ যেকোনও অভিযোগের বিষয়ে দলের সুনাম ক্ষুণœ হলেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার সাথেই সাথেই আমরা অভিযুক্তদের পদপদবি স্থগিত করেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আবু নাছিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।