কাপ্তাই প্রতিনিধি
কাপ্তাই সেনা জোন এবং কাপ্তাই থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে দুই সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে চাঁদাবাজি করার সময় হাতেনাতে অস্ত্রসহ আটক করেছে। আটককৃত দুই ব্যক্তির নাম বাসিং অং মারমা(৪৫) এবং অং সিং মং মারমা(৩৫)। তারা দুইজনই কাপ্তাইয়ের ২নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এসময় চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ১টি দেশীয় এলজি , ৩ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি মোবাইল ফোন ও চাঁদার নগদ অর্থ এবং এনআইডি কার্ড তাদের থেকে জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে এসময় আরো ৩ থেকে ৪ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার বালুচর ষ্টিল ব্রিজের পাশে অন্ধকার একটি নির্জন স্থানে কাপ্তাই-লিচুবাগান সড়কে যাতায়াতকারী পশুবহনকারী ট্রাক এবং অন্যান্য গাড়ি আটকিয়ে ৫ থেকে ৬ জন ব্যক্তি চাঁদা আদায় করছে এমন একটি সংবাদ পাওয়ার প্রেক্ষিতে অভিযানটি শুরু করা হয়। এই সময় কাপ্তাই জোনের ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ ফারুক এর নের্তৃত্ব একটি টহল দল এবং কাপ্তাই থানা হতে ওসি মোঃ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে এসে অভিযান পরিচালনা করলে উল্লেখিত দুই ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আটককৃত সন্ত্রাসী বাসিং অং মারমা এর পূর্বেও জেএসএস (মূল) এর হয়ে চাঁদাবাজি করার সময় আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট গ্রেফতার হয় এবং এক বছর কারাদন্ড ভোগ করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে। অপর ব্যক্তি অং সিং মং মারমা ও জেএসএস (মূল) সংগঠনের একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি করে আসছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠনগুলো বাৎসরিক চাঁদা উত্তোলনের নামে বেপরোয়া চাঁদা বাণিজ্য করে সাধারন মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে এমন অভিযোগ রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। এই চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে থেকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান,
কাপ্তাই জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ নূর উল্ল্যাহ জুয়েল (পিএসসি)।
এদিকে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসীম উদ্দীন জানান, আটককৃত আসামীদের বুধবার সকালে রাঙামাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।