মেহেরাজ হোসেন সুজন, নানিয়ারচর ॥
ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। এই নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুসল্লিরা।
মুসল্লিদের অভিযোগ,২০১৯ সালের গোড়ার দিকে এই মডেল মসজিদের কাজ আরম্ভ হয়। কখনো কাজ বন্ধ থাকে, আবার কখনো দুই একজন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। মসজিদের দরজার রং উঠে যাচ্ছে, জানালার অনেকগুলো কাঁচ বাতাসেই ভেঙে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের নির্মাণ কাজ অনেকটা এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে, মসজিদের মিম্বারের কাজ, বিদ্যুতের কাজ, রঙের কাজ, জানালার কাঁচের কাজ মসজিদের ওপর তলা ও নিচতলার অনেকাংশে বাকি এবং লাগানো কাঁচগুলোর অনেক জায়গার কাঁচ বাতাসে পড়ে ভেঙে গিয়েছে দরজার রঙ উঠে গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় জং ধরেছে।
স্থানীয় মুসল্লি মো. আজিজ জানান, মসজিদের দেয়ালের অনেক জায়গায় ফাটল দেখা যাচ্ছে। জানালা, দরজার কাঁচ জোরে বাতাস আসলেই ভেঙ্গে যাচ্ছে।
মো. নুরজামান বলেন, ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে মডেল মসজিদের কাজ আরম্ভ হয়। এখন চলছে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি। প্রায় ৭ বছর চলছে। এখনো ৮০% কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে ঠিকাদার কাজ নিয়েছিল।
নানিয়ারচর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রহমান বলেন, এভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রাখায় স্থানীয় মুসলিমদের মনে ক্ষোভের জন্ম নিয়েছে।
নানিয়ারচর বাজার কমিটির সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিগত সরকারের আমলে তাদের দোসরদের ঠিকাদার দ্বারা এই মডেল মসজিদর কাজ শুরু করা হয়, তবে যে পরিমাণ কাজ হওয়ার কথা তার চেয়ে নিম্নমানের কাজ পরিলক্ষিত হয়েছে। অবিলম্বে ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করা হোক।
কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. জাফর। তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে রাঙামাটি জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শর্মি চাকমা মুঠোফোনে জানান, নানিয়ারচর মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারকে বারবার বলা হলেও সে গাফিলতি করে। কাজ ধীরগতিতে করায় আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার দরপত্র বাতিলের লক্ষ্যে নতুন দরপত্র করার জন্য যোগাযোগ করেছি।