‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে লড়তে হবে জনগণকেই’ এই ব্যানার শ্লোগানে ‘ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ’-এর প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে ৪৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি ও সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাঙামাটি সদর উপজেলায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাজেক, রামগড়, পানছড়ি, লংগদুসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী, হেডম্যান, সাবেক ও বর্তমান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, কার্বারি, গৃহিনীও রয়েছেন।
সম্মেলনের ১ম অধিবেশনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হরি কুমার কার্বারির সভাপতিত্বে ও নির্মল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাজেক গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব বাবুধন চাকমা, রূপকারী মৌজার হেডম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা, ২নং চেঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অনিল চন্দ্র চাকমা, ৫নং ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আপ্রুসি মারমা, সাজেক গণ অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক নতুন জয় কার্বারি ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তেরেসা চাকমা।
এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি তুফান চাকমা ও কুশর ত্রিপুরা।
সম্মেলনের ২য় অধিবেশনের শুরুতে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিদের কন্ঠ ভোটে উষাতন চাকমাকে সভাপতি ও অনিল চন্দ্র চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া এতে বিশ্বজিৎ চাকমাকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সম্মেলনে গঠিত ছাত্র-জনতার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি উষাতন চাকমা বলেন, ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনটি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতিসত্তাগুলোর ন্যায্যতা ও অধিকারের পক্ষে কাজ করবে। আজকের এই সম্মেলন থেকে আমি বলতে চাই, পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দল জনগণের অধিকারের কথা বললেও আমরা সবকিছু জানি কারা প্রকৃতপক্ষে জনগণের পক্ষে আন্দোলন পরিচালনা করছে।(বিজ্ঞপ্তি)