কাইমুল ইসলাম ছোটন
“ছোটবেলা দেখা যায় মেয়েদের পুতুল এবং ছেলেদের বিমান কিনে দেওয়া হয়। ছেলেকে বলা হয় ‘বাবা তুমি বড় হয়ে পাইলট হবে’। এভাবে ছোট বয়সে মেয়েদের বিকাশে বাধা তৈরি হয়। তাই ছোট বয়স থেকে মেয়েদের স্বপ্ন দেখাতে হবে। যেন তারা বড় হতে পারে।” জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
তিনি আরও বলেন, একজন মহিলা ডাক্তার অনেক বেশি প্রয়োজন। নারীরা যাকে মন খুলে সব বলতে পারেন, যা কখনো পুরুষ ডাক্তারকে বলা যায় না। মেয়েদের সম্মানের সাথে বাঁচতে চাইলে বিনিয়োগ করতে হবে। উন্নত দেশে নারী পুরুষ এক সাথে কাজ করে। নারীকে ছাড়া কোন কিছু সম্ভব না। মেয়েরা মা-বাবাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। তাই নারীদের প্রতি বিনিয়োগের মাধ্যমে মানসিক বিকাশ ভালোভাবে করতে স্বপ্ন দেখাতে হবে। মহানবী হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) নারীদের অনেক বেশি সম্মান দিয়েছেন।
৩০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ‘বিনিয়োগের অগ্রাধিকার, কন্যা শিশুর অধিকার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, হিমাওয়ান্তী’র নির্বাহী প্রধান টুকু তালুকদার, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রূপনা চাকমা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, কন্যা শিশুর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাদিয়া সেলিম বন্যা।
এ সময় বক্তারা বলেন, নারীরা ছোটবেলা থেকে বৈষম্যের শিকার হয়। খাবারের সময় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ভালো খাবার কম দেওয়া হয়। তাদের অনেক কাজ করতে হয়। তাই কন্যা শিশুদের জন্য বিনিয়োগসহ বাল্য বিবাহ রোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। নারীরা কোন দুর্নীতি করে না। আজকের মেয়েই আগামী দিনে হবে একজন আদর্শ মা। শিক্ষিত মা শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলেন।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের প্রয়োজনে অনেক কাজ করছেন। তাদের বৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। সংসদসহ দেশের অনেক জায়গায় নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন এটা অনেক বড় অর্জন। মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করে তাদের বেড়ে ওঠতে সুযোগ দিতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে নারীদের সংযুক্ত করার আহবান জানান বক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটি শহরের ১২ টি সংগঠনকে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এসময় অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক)মোঃ সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।