নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন’র সাথে ইউপিডিএফ এর সমর্থন ও সম্পৃক্ততা নিয়ে করা জনসংহতি সমিতির নেতা ডাঃ গঙ্গা মানিক চাকমার বক্তব্যকে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিচারিতার রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)’র মুখপাত্র ও সংগঠক অংগ্য মারমা। তারা একদিকে চুক্তির বাস্তবায়ন চায় আবার চুক্তি বাস্তবায়ন না করা পতিত স্বৈরাচারি সরকারের তাবেদারিও করেছে !
তিনি বলেন, ইউপিডিএফ’র রাজনৈতিক অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও আমাদের প্রকাশ্য সমর্থন ও অবস্থান ছিলো। সেইসময়ও জনসংহতি সমিতি নীরব ভূমিকা পালন করেছে,বরং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা হিসেবে আরো অনেকের সাথে জেএসএস এর ঊষাতন তালুকদারও সরকারের দালালি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন,সেটা জনগণ ভুলে যায়নি। তাদের ভুল রাজনীতি,ক্রমশ তাদের মুসলিম লীগের মতো পরিণতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে,এটা হয়ত এখনো তারা বুঝতে পারছেন না।’
অংগ্য মারমা বলেন, সারাদেশের আন্দোলনের চেতনা ও প্রভাব পাহাড়ী ছাত্রছাত্রীদের উপরও পড়েছে স্বাভাবিকভাবে। তাই তারা ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন’ গড়ে তুলে আমাদের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ‘এগত্তর’ শ্লোগান তুলেছে। তাদের এই স্পিরিটকে আমরা সাধুবাদ জানাই,সমর্থন জানাই। কিন্তু জেএসএস বরাবরের মতই নতুন প্রজন্মের আবেগ অনুভূতি বুঝতে অক্ষম। তাই তারা এই নির্দলীয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ট্যাগ দিচ্ছে, এটা দুঃখজনক।’ এই শিক্ষার্থীরা আমাদের এক হতে বলছে,চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে, কই তারাতো ইউপিডিএফ’র ‘পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি’র প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেনা !! তবুও কেনো জনসংহতির এত দুশ্চিন্তা ? এত ভয় ?
তিনি জনসংহতি সমিতিকে শিক্ষার্থীদের আবেগ,অনুভূতি ও দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যুগোপযো রাজনীতি করার তাগিদ দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন নেতৃত্বের অদুরদর্শীতার কারণে পাহাড়ীরা ব্যাপকভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, এখনো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনসংহতির মত নির্বাক হয়ে থাকলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করত না। তাই আমার এই আন্দোলন এবং বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানিয়েছি। সক্রিয়ভাবেই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ছিলো ইউপিডিএফ।
অংগ্য মারমা বলেন, খাগড়াছড়িতে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনের মৃত্যু এবং তারপরের ঘটনাপ্রবাহই প্রমাণ করে কারা নেপথ্যে থেকে কি করছেন। আইনশৃংখলাবাহিনী যদি ঠিক সময়ে ঠিক পদক্ষেপ নিতো,তবে ঘটনা এতদূর গড়াত না।