খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেছেন,সর্বস্তরের জবাবদিহিতা মূলক অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়ন কর্মকান্ড সহজেই বাস্তবায়ন করা যায় এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত হবে। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নিতে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেছেন সকলে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।
তিনি সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন সংগঠন ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন-ইপসা’র যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সহায়ক প্রকল্পে’র জেলা পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র কারিগরী সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় ইপসা বাস্তবায়ন করছে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সহায়ক শীর্ষক প্রকল্পটি ।
প্রধান অতিথির ভাষনে কংজরী চৌধুরী আরো বলেছেন, দূর্গম এলাকায় এই প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ১০-২৪ বয়সী যুবরা বাল্য বিবাহ, যৌতুক, যৌন নির্যাতন ও তাদের বয়ঃসন্ধিকালীন শারিরীক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হবে। এতে পিতা-মাতাকে সচেতন হতে হবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ যার যার অবস্থান থেকে সকলকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন এসব প্রকল্পের কারনে এ এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের চেহারা পাল্টে দেয়া যাবে। তিনি ইপসা’র বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা.নিশিত নন্দী মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা,নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তরফদার,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়–য়া,প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. আনা ইসলাম ও ইপসা’র পরিচালক মোঃ মাহবুবর রহমান। অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়–য়া,সাংবাদিক প্রদীপ চৌধূরী, শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস চাকমা সত্যজিত ,পানছড়ির উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, , ]লতিবান ইউপি সদস্য হেম রঞ্জন চাকমা, পানছড়ি উপজেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের সভাপতি রোজী আক্তার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র ডা. সৈয়দা নবীন আরা নিতু,ইপসা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন,পানছড়ি উপজেলার যুব ক্লাবের সদস্য জয়ন্ত ত্রিপুরা,এনজয় চাকমা,পপি বড়–য়া প্রমূখ।
খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা.নিশিত নন্দী মজুমদার বলেন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার সহায়ক প্রকল্পটি খাগড়াছড়ি জেলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। পার্বত্য এ জেলার জন্য অত্যন্ত যুগউপযোগী এ প্রকল্প সঠিকভাবে মনিটরিং করতে হবে। সমাজের প্রত্যেক স্তর থেকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে, এর ফলে আমরা একটি সুস্থ যুব জনগোষ্ঠী পাবো। তিনি এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী/বেসরকারী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসার আহবান জানান।